মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাথে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশ: বুধবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৪, ৫:০১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত আমার সাথে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। দুই রাষ্ট্রদূতের সাথেই আমার ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাথে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের একটি বড় উন্নয়ন সহযোগী।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে মন্ত্রণালয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য ক্ষেত্রেও তারা একটি বড় বাণিজ্যের অংশীদার। আমি গত ৫২ বছরের পথচলায় মার্কিন সহায়তার জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। আমরা উভয়েই আমাদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার ব্যাপারে একমত হয়েছি। সে লক্ষ্যে কাজ করা বলে আমরা আলোচনা করেছি। মার্কিন রাষ্ট্রদূতও নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার জন্য বাণিজ্য বিস্তৃত করা ও সরাসরি বিনিয়োগ বাড়াতে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা করেছি।
নির্বাচনের পর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে গুঞ্জন ছিল। কিন্তু আজকের বৈঠকে পিটার হাসকে হাস্যজ্বল দেখা গেছে, সেই অস্বস্তি কতটা কাটলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা উভয় দেশ একযোগে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ব্যাপারে ফলপ্রসু আলোচনা করেছি।
তিনি বলেন, নানা বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের কো-অপারেশন আছে। আমরা জঙ্গি দমনের ক্ষেত্রে, উগ্রবাদ মোকাবিলায় দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজ করেছি। আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ব্যাপারে একমত ব্যক্ত করেছি। গত নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনেকে পর্যবেক্ষণ করতে এসেছে সেবিষয়ে আলোচনা করেছি। বাংলাদেশে একটি ভালো নির্বাচন হয়েছে প্রায় ৪২ শতাংশ ভোট পড়েছে যেটি ভালো সংখ্যা। কারণ নির্বাচনের দিন অনেক কুয়াশা ছিল, সকালে ঠান্ডা ছিল সেটি না হলে ভোট আরও ১০ শতাংশ বেশি পড়তো। সেটি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা উভয় দেশ সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে একমত হয়েছি।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কথা বলেছি। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে আমরা তাদের সহায়তা সবসময় চেয়ে এসেছি। আজকে সেটি পুনর্ব্যক্ত করেছি। তারা আমাদের সহায়তা করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাবো। ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও এটি নিয়ে কথা বলেছি। রোহিঙ্গা ইস্যুটি শুরুতে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজায় অমানবিক হামলার ঘটনায় বিশ্বের দৃষ্টি অনেকটা সরে গেছে। সেজন্য আমি তার সঙ্গে আলোচনা করেছি রোহিঙ্গা ইস্যুটি আমাদের জন্য সমস্যা।