ফরিদপুর-১: ক্রমশই ভারী হচ্ছে দোলনের পাল্লা, ঈগলের পক্ষে একজোট জনপ্রতিনিধি, সামাজিক নেতৃবৃন্দ
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই ভারী হচ্ছে ফরিদপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল মার্কার আরিফুর রহমান দোলনের পাল্লা। ক্লিন ইমেজের এই নেতার পক্ষে একে একে একাত্ম হচ্ছেন জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের নানা নেতৃবৃন্দ। ঈগলের পক্ষে কাজ করছেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। ফলে দোলন এই আসনে ভোটের হিসাব পাল্টে দিতে পারে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর পর গেল দুই সপ্তাহে হেভিওয়েট দুই প্রার্থীর চেয়ে জনসমর্থনে এগিয়ে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী দোলন। তাঁর প্রতীক ঈগল মার্কার পক্ষে প্রতিদিনই আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালীর বিভিন্ন এলাকায় হাজারো জনতা গণসংযোগ ও নির্বাচনী সভায় অংশ নিচ্ছেন।
দোলনের সঙ্গে রয়েছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বেশিরভাগ নেতাকর্মীরা। তারা প্রকাশ্যে সমর্থন দিচ্ছেন দোলনকে। তুলে ধরছেন এমপি হিসেবে দোলনকে কেন প্রয়োজন। ঈগল মার্কায় ভোট দিতে আহ্বান জানাচ্ছেন ভোটারদের।
এরই মধ্যে তিন উপজেলার বেশিরভাগ ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বাররা একজোট হয়ে দোলনের পক্ষে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন। সবশেষ রবিবার বোয়ালমারী উপজেলার পাঁচটি ইউপির চেয়ারম্যানরা দোলনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারা ঈগল মার্কায় সমর্থন জানিয়ে দোলনকে বিজয়ী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এই চেয়ারম্যানরা হলেন, শেখর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল আহমেদ; বোয়ালমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হক; ঘোষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন নবাব; চতুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম ও রূপাপাত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সোনা।
এর আগে আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী উপজেলার বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি এবং আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতারা ঈগল মার্কার প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানান। নির্বাচনী প্রচারে তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী দোলনের সমর্থনে একাট্টা হয়ে কাজও করছেন।
আরিফুর রহমান দোলনের পক্ষে কাজ করছেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা রোকন উদ্দিন মাস্টার; ফরিদপুর জেলা পরিষদ সদস্য হাসান সিকদার; বোয়ালমারীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বাসার; আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়াম লীগের সাবেক সভাপতি সোলায়মান আহমেদ; আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শেখ কোবাদ হোসেন; মধুখালী উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেবসহ প্রভাবশালী বিভিন্ন নেতারা।
স্থানীয়রা বলছেন, কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা টাইমস সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন এমপি প্রার্থী হওয়ায় ফরিদপুর-১ আসনে ভোটের হিসাব পাল্টে গেছে। ক্লিন ইমেজ ও সর্বসাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্যতায় দোলন পিছিয়ে দিয়েছেন হেভিওয়েট অপর দুই প্রার্থীকে।
এতদিন জনপ্রতিনিধি না হয়েও দোলন গত দুই দশক ধরে কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ফরিদপুর-১ আসনের সর্বস্তরের মানুষের কল্যাণে বহুমুখী কাজ চালিয়ে আসছেন। দোলনের এসব সমাজ ও জনসেবামূলক কর্মকাণ্ডের প্রশংসা গোটা অঞ্চলের লাখো মানুষের মুখে মুখে।
দোলনের ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের ফলে ঈগল মার্কার পক্ষে ফরিদপুর-১ আসনে তৈরি হয়েছে ব্যাপক গণজোয়ার। আগামী ৭ জানুয়ারি দোলনের বিজয়ের লক্ষ্য নিয়ে প্রতিদিনই দোলনের পক্ষে হাজারো জনতার স্লোগানে মুখরিত ফরিদপুর-১ আসন।