প্রকাশ: শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১১:৪৪ এএম | অনলাইন সংস্করণ
২০২৪ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে সবার আগে আছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার রাস্তা তার জন্য ক্রমশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় মার্কিন রাজ্য হিসেবে, আগামী বছরের মার্কিন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়ে ট্রাম্পকে ‘অযোগ্য’ বলে ঘোষণা করল মেইন অঙ্গরাজ্য। খবর রয়টার্সের।
মেইনের শীর্ষস্থানীয় নির্বাচনী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি, ‘ক্যাপিটল হামলার’ পেছনে ট্রাম্পের ভূমিকার জন্যই তাকে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হল।
এর আগে ১৯ ডিসেম্বর একই কারণে কলোরাডোর শীর্ষ আদালত ট্রাম্পকে ভোটের লড়ার অযোগ্য বলে ঘোষণা করেছিল।
মেইনের সেক্রেটারি অব স্টেট শেনা বেলোস দাবি করেছেন, ২০২০ সালের নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। পরাজয় নিশ্চিত বুঝতে পেরেই তিনি নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির মিথ্যা দাবি ছড়িয়েছিলেন। এই ভাবে তিনি গণতন্ত্র বিরোধী বিদ্রোহ উসকে দিয়েছিলেন।
ডেমোক্র্যাট এই নেতা আরও বলেন, ‘হার নিশ্চিত বুঝে, ভোটের ফল ঘোষণা করা থেকে সাংসদদের আটকাতে, ট্রাম্প তার সমর্থকদের ক্যাপিটলে মিছিল করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত এই বিষয়ে রায় না দেওয়া পর্যন্ত বেলোস তার সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছেন।
মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, আগে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন, এমন কোনও ব্যক্তি যদি সরকার বিরোধী অভ্যুত্থান বা বিদ্রোহে জড়িত থাকেন, তবে তাকে ফের প্রেসিডেন্ট পদে বসার অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হবে।
মেইনের কয়েকজন সাবেক সাংসদ এই বিধানের উল্লেখ করে, ট্রাম্পকে নির্বাচনে লড়ার অযোগ্য বলে ঘোষণা করার আবেদন করেছিলেন। তারই ভিত্তিতে এই রায় এসেছে। তবে, এই রায়টি শুধুমাত্র মার্চের প্রাথমিক নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। নভেম্বরের হবে সাধারণ নির্বাচন। সেখানে লড়তে সমস্যা হবে না ট্রাম্পের।
তবে এই রায়ের ফলে, সেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হবে তাকে। প্রাথমিক নির্বাচনে না প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে, দেশব্যাপী তার যোগ্যতা সম্পর্কে প্রশ্নগুলো সমাধান করার জন্য চাপ বাড়বে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের উপর।