দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি প্রদর্শন, গুম ও হত্যার হুমকির অভিযোগ তুলেছেন ১৫ জনপ্রতিনিধি। অভিযোগটি তাঁরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে জমা দিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, ‘হাতঘড়ি প্রতীকের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় জাফর ও তাঁর অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের হুমকি দিচ্ছে।’
এ আসনে হাতঘড়ি প্রতীকে নির্বাচন করছেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।
গতকাল বুধবার চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা লিখিত অভিযোগ সিইসি বরাবর জমা দেন।
জনপ্রতিনিধিরা জানান, বর্তমান সংসদ সদস্য (এমপি) জাফর আলম আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক) হিসেবে নির্বাচন করছেন। তাঁর বিপরীতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। এ অবস্থায় বর্তমান এমপির নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ না করায় তিনি তাঁর ক্যাডার বাহিনী দিয়ে অস্ত্রের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে গুম ও হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।
এ ছাড়াও তাঁর উচ্ছৃঙ্খল কর্মিবাহিনী হাতঘড়ি প্রতীকের নির্বাচনী পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলছে।
জনপ্রতিনিধিরা লিখেছেন, এ ধরনের কার্যক্রম একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে বড় অন্তরায় এবং তাঁরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। উল্লিখিত অভিযোগ যাচাই সাপেক্ষে পরবর্তী কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ তাঁদের।
অভিযোগে স্বাক্ষর করেছেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম, পেকুয়ার চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য আবু তৈয়ব, সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজিমুল হক, কাকারা ইউপির চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন, বমুবিলছড়ির চেয়ারম্যান মনজুরুল কাদের, লক্ষ্যারচরের চেয়ারম্যান খ ম আওরঙ্গজেব বুলেট, বদরখালীর চেয়ারম্যান নুরে হোছাইন আরিফ, বি এম চরের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, ঢেমুশিয়ার চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন আহমেদ, রাজাখালীর চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বাবুল, মগনামার চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরী এবং বারবাকিয়ার বদিউল আলম।