প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১২:৪৯ এএম | অনলাইন সংস্করণ
গায়িকা হিসেবে ডলি সায়ন্তনীর বার্ষিক আয় ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। অথচ তাঁর বাড়ি-গাড়ি-সম্পত্তি কিছুই নেই। প্রায় ৪০ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ থাকলেও, তাঁর কোনো স্থাবর সম্পদ নেই। নিজের ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার থাকলেও, সেটার দাম জানেন না তিনি।
নির্বাচন কমিশনের কাছে দেয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা সুত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এবারের নির্বাচনে পাবনা-২ (সুজানগর-আমিনপুর) আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) থেকে নোঙর প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ডলি সায়ন্তনী।
নির্বাচন কমিশন বরাবর দাখিলকৃত হলফনামা থেকে জানা যায়, ডলি সায়ন্তনীর শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাশ। বসবাস করেন ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের ডিওএইচএস বারিধারা এলাকায়। তার বাবার নাম রফিকুল ইসলাম ও মায়ের নাম মনোয়ারা বেগম।
তার পেশা হিসেবে গায়িকা উল্লেখ করেছেন। তাঁর বার্ষিক আয় ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ টাকা রয়েছে ২ লাখ। ব্যাংকে জমাকৃত টাকা ৩৬ লাখ ৪২ হাজার টাকা। ৩০ ভরি স্বর্ণের মালিক তিনি। তবে তার কোন মূল্য উল্লেখ করেননি হলফনামায়। ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী রয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার। আর আসবাবপত্র রয়েছে ৪০ হাজার ৪০০ টাকার। গুনী এই শিল্পীর স্থাবর কোন সম্পদের বিবরণ নেই। তাঁর বিরুদ্ধে নেই কোনো মামলা।
ডলি সায়ন্তনীর দাদার বাড়ি পাবনার সুজানগর উপজেলায়। আর পৈত্রিক আবাস ছিল পাবনা শহরে। নির্বাচন ঘিরে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকে নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ করে বেশ জমিয়ে রেখেছেন। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। মাঠঘাটে ভক্ত অনুরাগীদের দাবী পুরণে খালি গলায় দু’ লাইন গাইতে হচ্ছে তাকে।
কার, হায়েস ও নোহা যানবাহন নিয়ে তিনি যাচ্ছেন ভোটারদের কাছে। চাইছেন ভোট। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। তবে তার হলফনামায় বাড়ি, ফ্ল্যাট, জমি বা যানবাহনের কোন তথ্য প্রদান করেননি তিনি। সারাদিন গণসংযোগ করার পর পাবনা শহরের একটি রিসোর্টে এসে রাত্রিযাপন করছেন ডলি সায়ন্তনী।