দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ ১১ বিষয়ে অগ্রাধিকার আ. লীগের ইশতেহারে
স্মার্ট বাংলাদেশ থিমে ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’ স্লোগানে ইশতেহার ঘোষণা করছে আওয়ামী লীগ। দ্রব্যমূল্য সব মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা, প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলাসহ ১১টি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এই ইশতেহার ঘোষণা করছে দলটি।
আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এই ইশতেহার ঘোষণার অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। সেখানে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এ ইশতেহার ঘোষণা করছেন।
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার বক্তব্যের শুরুতে সরকারের অর্জনগুলো তুলে ধরেন। মাথাপিছু আয়, জিডিপি ও বাজেটের আকার, বিদ্যুৎ, অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ নানা খাতের সরকারের অর্জনগুলো তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ইশতেহার কমিটির প্রধান ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক সূচনা বক্তব্য দেন। এরপর বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এর আগে ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘দিনবদলের সনদ’ দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। সেই ইশতেহারে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ছিল দলটির।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির ইশতেহারের শিরোনাম ছিল ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’। আর সবশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইশতেহারের শিরোনাম ছিল ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’।
এবার নির্বাচনে বিজয়ী হলে যে ১১টি বিষয়ে আওয়ামী লীগ অগ্রাধিকার দেবে, সেগুলো হলো—
১. দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।
২. কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।
৩. আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
৪. লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে সমন্বিত কৃষিব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি।
৫. দৃশ্যমান অবকাঠামোর সুবিধা নিয়ে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটানো।
৬. ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানো।
৭. নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা।
৮. সর্বজনীন পেনশন-ব্যবস্থায় সবাইকে যুক্ত করা।
৯. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা।
১০. সাম্প্রদায়িকতা এবং সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধ করা।
১১. সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার ঘটানো।