শরীয়তপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর গাড়ি বহরে নৌকার সমর্থকদের বাধা, ক্লাব ভাংচুর, সংঘর্ষে আহত ৭
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৮:৫২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুরে- ২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর গাড়ি বহরে নৌকার সমর্থকদের বাধা, ঈগলের ক্লাব ভাংচুরের ঘটনায় ২ পক্ষের সংঘর্ষে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় নড়িয়া উপজেলার পাইকপাড়া ও সুরেশ্বর কলেজ গেইট এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় নৌকার সমর্থকদের পক্ষে ৩ জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষের ৪ জন আহত হয়েছে বলে দাবী করেছেন দুই প্রার্থী। নৌকার পক্ষের আহতরা হলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান বিপ্লব, উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান ও ছাত্রলীগ কর্মী হৃদয় মীর। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষের আহতরা হলেন নড়িয়া পৌরসভা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মো: সোহেল কাজী, নড়িয়া উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সদস্য
হারুন খলিফা ও আরিফসহ ৪জন।
এই ঘটনার পর নড়িয়া উপজেলা শহর ও এর আশপাশ এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ ও র্যাব টহল দিতে শুরু করেছেন।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম আহত কর্মীদের দেখতে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে, সাংবাদিকদের জানান, দলের মধ্যে বিভেদ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য যুবলীগের ওই নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তিনি যেভাবে আওয়ামী লীগের ও শেখ হাসিনার কর্মীদের রক্ত ঝরিয়েছেন এটা ঠিক করেননি। এর দায় তাকেই নিতে হবে। আমরা এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেব। আর ঘটনাটি সম্পর্কে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে অবহিত করব।
এই বিষয়ের স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. খালেদ শওকত আলী বলেন, ৮ তারিখ প্রতীক গ্রহণের দিন আমি আমার নির্বাচনী পথসভা সিডিউল জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জমা দিয়েছিলাম। সিডিউল অনুযায়ী উপজেলার ৭ নং ওয়ার্ডের লোনসিং হাই স্কুলের মাঠে আমার পূর্ব নির্ধারিত পথসভা ছিল। সেখানে যাওয়ার সময় পূর্বাআটি পাড়া এলাকায় আসলে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান বিপ্লব লাঠীসোটাসহ ২০-২৫ জন আমার গাড়ির বহরে বাধা দেয়। আমার বহরের সামনের মোটরসাইকেলে থাকা ২ কর্মী হারুন খলিফা ও আরিফকে মারধর করে। তখন তাদের সাথে আমার কর্মীদের উত্তেজনার সৃষ্টি হলে, ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ছাড়াও নৌকার সমর্থকরা বিভিন্ন স্থানে আমার ঈগলের ক্লাব ভাঙচুর করেছে, ঈগলের একাধিক সমর্থককে কুপিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,নির্বাচন চলছে, আর কি হবে। একটু ধাক্কাধাক্কি চিল্লাচিল্লি হয়েছে। আর এই ঘটনায় বিপ্লব নামে একজন সামান্য আহত হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেননি। এই কথা বলে তিনি ফোন কেটে দেন।