ফরিদপুর-১ আসনের তিন উপজেলায় ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দোলনের গণসংযোগে জনতার ঢল
প্রকাশ: শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১২:৩৫ এএম | অনলাইন সংস্করণ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলনের পক্ষে ব্যাপক গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারের পঞ্চম দিনে শুক্রবার দিনজুড়ে আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ ও পথসভা করেন তিনি।
আলফাডাঙ্গা উপজেলার বানা ইউনিয়নে একটি জানাজায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে এদিন নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু করেন দোলন। পরে মধুখালী উপজেলার কামারখালী বাজারে গণসংযোগ ও পথসভা এবং গাজনা ইউনিয়নে গণসংযোগ করেন তিনি।
এরপর দোলন যান বোয়ালমারী উপজেলায়। সেখানে তিনি কাদিরদী বাজার, মরিশালা বাজার, সাতৈর বাজারে গণসংযোগ ও পথসভা করেন। এছাড়া বোয়ালমারীর জয়পাশা এলাকায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। পরে অংশ নেন বোয়ালমারীর কলিমাঝি বাগডাঙ্গা এলাকায় একটি ওয়াজ মাহফিলে।
ঈগল প্রতীকের প্রার্থী দোলন এই তিন উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে ঘুরে সর্বসাধারণের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। পাশাপাশি ভোটারদের কাছে ঈগল প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন। এসময় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে জমায়েত হন হাজারো জনতা। তারা দোলনকে সমর্থন এবং ঈগল প্রতীকে ভোট দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রতিনিয়ত স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলনের সমর্থনে গণজোয়ার সৃষ্টি হচ্ছে ফরিদপুর-১ আসনে। দোলন গণসংযোগকালে স্থানীয়রা তাদের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরছেন। নির্বাচনে জয়লাভ করলে এলাকার সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে ভোটারদের আশ্বাস দেন দোলন।
প্রত্যেক গণসংযোগ ও পথসভায় এলাকাবাসী দোলনের ঈগল প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্লোগানে স্লোগানে মুখর করে রাখে গোটা এলাকা।
বিভিন্ন পথসভায় দেওয়া বক্তব্যে দোলন পবিত্র কাবা শরীফ ছুঁয়ে তাঁর শপথের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। বলেন, ‘আমি এমপি হলে প্রাপ্ত সরকারি ভাতা গ্রহণ করবো না। এই টাকা নির্বাচনী এলাকার হতদরিদ্র মানুষের কল্যাণে ব্যয় করবো।’
ভোটের মাঠে নামার পর থেকে কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা টাইমস আরিফুর রহমান দোলনের পক্ষে প্রতিদিনই গণজোয়ার তৈরি হচ্ছে। তিন উপজেলায় একের পর এক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা তাঁর পক্ষে কাজ করার প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছেন।
কৃষক লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দোলন ক্লিন ইমেজ, জনসমর্থন আর সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতাসহ সব দিকেই এগিয়ে রয়েছেন। গত দুই দশক ধরে আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলায় নানান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে হেভিওয়েট প্রার্থী দোলনই এমপি নির্বাচিত হবেন বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।