প্রকাশ: সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১২:২৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
৪ বছর বন্ধ থাকার পর নতুন করে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য শ্রমবাজার খুলে দিয়েছে দেশটি। স্থানীয় গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে মালদ্বীপের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড টেকনোলজি মন্ত্রণালয়।
শনিবার (১৭ই ডিসেম্বর) স্থানীয় গণমাধ্যমেকে দেয়া এক বিবৃতিতে মালদ্বীপের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড টেকনোলজি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন থেকে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে কোনো বাধা নেই। অন্য যে সব দেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হতো, সেসব দেশের অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগ আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, এরই মধ্যে যেসব বাংলাদেশির ডকুমেন্টস বা নথিপত্র অনলাইন সিস্টেমে আপলোড করা হয়েছে, তাদের নথিগুলো প্রক্রিয়াকরণ শুরু হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মালদ্বীপের বাংলাদেশ হাইকমিশনের শ্রম কাউন্সেলর মো. সোহেল পারভেজ। তিনি বলেন, মালদ্বীপের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ও টেকনোলজি মন্ত্রণালয় থেকে পুনরায় বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য ভিসা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টি আমাদের নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত কয়েক বছর যাবত হাইকমিশনের পক্ষ হতে মালদ্বীপ সরকারের সাথে বাংলাদেশের শ্রমবাজার পুনরায় চালুর বিষয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। তবে গত ১৩ ডিসেম্বর মালদ্বীপের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রীর সাথে হাইকমিশনের বৈঠকে এ বিষয়ে অনুরোধ জানানো হলে ইতিবাচক আশ্বাস প্রদান করা হয়। এরপর বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের জন্য ভিসা প্রদানের নতুন ঘোষণা এলো।
গত ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে মালদ্বীপে বাংলাদেশি শ্রমিক নেয়া বন্ধ রয়েছে। এরপর অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে দেশটির সরকার অবস্থান নেয়ায় অনেক প্রবাসী বিপাকে পড়ে।
এরই মধ্যে দুই দেশের সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলতে থাকে। অবশেষে তার ইতিবাচক ফল মিলেছে। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) থেকে বাংলাদেশি শ্রমিক নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে মালদ্বীপ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড টেকনোলজি মন্ত্রণালয়। তবে কতজন বা কোন প্রক্রিয়ায় শ্রমিক নেয়া হবে তা স্পষ্ট করে জানায়নি কিছু মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিকভাবে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে এক বছরের জন্য বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ নিষিদ্ধ করার পর প্রতিবছর এর মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে নতুন প্রেসিডেন্ট ড. মুইজের প্রশাসন ২০২৩ সালে নিষেধাজ্ঞা নবায়ন না করে বাংলাদেশি কর্মী প্রবেশে উন্মুক্ত করে দেয়। বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও অন্যান্য দেশ থেকে দেশটিতে শ্রমিক নিয়োগ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়।