স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। হামলায় শিশুসহ আহত ব্যক্তিদের পার্শ্ববর্তী চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোয় নেওয়া হয়েছে; যদিও এসব চিকিৎসাকেন্দ্র আগে থেকেই রোগীতে ভরে আছে।
এ হামলায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ‘প্যালেস্টানিয়ান ইসলামিক জিহাদ’ দলের মুখপাত্র দাউদ শেহাবের ছেলে রয়েছেন। এ দলের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে এমনটাই জানিয়েছেন। রয়টার্সকে তিনি টেলিফোনে বলেছেন, ‘ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা মরদেহের সংখ্যা অনেক বেশি। কিন্তু ইসরায়েলি হামলার মাত্রা এত বেশি যে এসব ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে তাঁদের উদ্ধারের কোনো উপায় নেই।’
এদিকে গাজার মধ্যাঞ্চলেও হামলা হয়েছে। সেখানে কমপক্ষে ১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। আর গাজার দক্ষিণাঞ্চলে রাফা এলাকায় একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছেন।
গাজায় নির্বিচার বোমা হামলা ও স্থল অভিযানের লাগাম টেনে ধরতে যুদ্ধবিরতির আহ্বান যখন সারা বিশ্বে জোরালো হচ্ছে, তখন আবারও ভয়াবহ হামলা চালাতে শুরু করেছে ইসরায়েল।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১৮ হাজার ৮০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাঁদের ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।