প্রকাশ: শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১:১৫ পিএম আপডেট: ১৬.১২.২০২৩ ১:৪২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় হামাসের হাতে আটক ৩ জিম্মি প্রাণ হারিয়েছে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে। এই ঘটনার পর দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী-আইডিএফ বলছে, এটা ভুলবশত হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে।
গাজার উত্তরাংশে শেজাইয়া এলাকায় হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘাতের সময় বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ওই তিনজনের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন- ইয়োতাম হাইম (২৮), সামের তালালকা (২২) এবং অ্যালোন শামরিজ (২৬)।
ইসরায়েলেরর প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কী কারণে এই ভুল ঘটল, তা বের করতে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পাশাপাশি নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক জানিয়ে আইডিএফ বলছে, তাদের এই অভিযানের লক্ষ্য সব জিম্মিকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনা।
দশকের পর দশক নির্যাতনের শিকার ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারা গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায় ও আড়াই শতাধিক মানুষকে জিম্মি করে নিয়ে আসে। সেসময় তারা বলেছিল, এই হামলার উদ্দেশ্য হলো, ইসরায়েলের কারাগারে থাকা সব ফিলিস্তিনিকে মুক্ত করা ও দখলদারিত্ব বন্ধ করা। তবে ওই হামলার পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। ১৬ অক্টোবর থেকে শুরু হয় স্থল অভিযান।
দুই মাসের বেশি সময় গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অবিরাম বোমা বর্ষণে ১৯ হাজার বেশি বেসামরিক ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে। এদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি।
এরই মাঝে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নতি স্বীকার করে গত ২৫ নভেম্বর অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ এবং হামাস। প্রথমে চার দিনের বিরতি ঘোষণা করলেও পরে এই বিরতির মেয়াদ বাড়ে আরও ৩ দিন।
অস্থায়ী বিরতির সময় নিজের হাতে আটক জিম্মির মধ্যে থেকে ১১৮ জনকে মুক্তি দেয় হামাস। আর ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগার থেকে ১৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পায়।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বলছে, যুদ্ধে ২০ জন জিম্মি প্রাণ হারিয়েছেন। হামাসের হাতে এখন জীবিত রয়েছেন ১১২ জন জিম্মি।