প্রকাশ: শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৫:৪০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
(১৯৬৫-১৯৬৭) সালের ঘটনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেওয়ার জন্য হরিণের শিংয়ের এই লাঠিটি সংগ্ৰহ করেছিলেন মোঃ ইব্রাহিম হোসেন।যার আদি বাড়ি মাগুরা জেলার হাজিপুর ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্ৰামে। তিনি তৎকালীন সময়ে শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে প্রথমে ছাত্রলীগ এবং পরে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ ভাবে অংশগ্রহণ না করলেও পরোক্ষ ভাবে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্ৰহন করেন। তিনি বর্তমান মাগুরা-১ আসনের এমপি সাইফুজ্জামান শিখর সাহেবের পিতা সাবেক এমপি মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান সাহেবের নেতৃত্বে মাগুরার আলমখালী মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পের খাদ্য গুদামের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সাবেক এমপি মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান সাহেব তাকে মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট নিতে বললেও তিনি তা নিতে অস্বীকৃতি জানান।তিনি বলেছিলেন আমি অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেনি সেইজন্য আমি সার্টিফিকেট গ্ৰহন করতে পারবোনা কিন্তু বাংলাদেশ সরকার যদি কোনোদিন মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান করেন তাহলে আমি সেদিন গ্ৰহন করবো। তিনি ছাত্রজীবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন। শেখ মুজিবুর রহমানও তাকে প্রচণ্ড ভালবাসতেন। বেশ কয়েকবার ৩২নং ধানমন্ডির বাসায় গিয়েছেন শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে দেখা করার জন্য। শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালবাসার নিদর্শন স্বরূপ সুদূর সুন্দরবন থেকে এই হরিণের শিংয়ের লাঠিটি সংগ্ৰহ করেন। কথা ছিল শেখ মুজিবুর রহমানকে উপহার দেবেন মাগুরার জনসভায়। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে জনসভা সংক্ষেপ করে তিনি চলে যান। যার ফলশ্রুতিতে এই লাঠিটি শেখ মুজিবুর রহমানকে দেওয়া আর সম্ভব হয়নি।সেই থেকে প্রায় ষাট বছর ধরে তিনি এই লাঠিটি বহন করে চলেছেন। সারা জীবন শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালবেসে আওয়ামী লীগকে বুকে লালন করে চলেছেন।
বর্তমানে তিনি ঝিনাইদহ জেলার হামদহ ৩নং পানির ট্যাংক পাড়ার নিজ বাসভবনে বসবাস করেন। তার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। দুই বার স্ট্রোক হয়েছে। তাছাড়া ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ সহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত।জীবনের এই ক্রান্তিলগ্নে তার শেষ ইচ্ছা যদি আমার এই লাঠিটি শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনকে দিতে পারতাম তাহলে আমার জীবন সার্থক হতো। তিনি সবার কাছে অনুরোধ করেছেন এই পোস্টটি বেশি বেশি শেয়ার করার জন্য যাতে তার এই মনের কথা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌছায়। আল্লাহ তার মনের আশা পূর্ণ করুন আমিন।