প্রকাশ: শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৬:১৮ পিএম আপডেট: ১৫.১২.২০২৩ ৬:২১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আমন মৌসুমের নতুন চাল বাজারে এসেছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম কিছুটা কমেছে। শীতকালীন সবজি সরবরাহ ভালো হওয়ায় দামও নাগালের মধ্যে। পাশাপাশি পেঁয়াজের দামও স্বস্তির মধ্যে রয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর উত্তরার আজমপুর কাঁচাবাজার, মিরপুর এলাকার বেশ কয়েকটি বাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি বস্তা পাইজাম বিআর-২৮ বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ থেকে ২৪২০ টাকায়। যা বস্তাপ্রতি আগের তুলনায় প্রায় ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কম।
একজন বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আমনের নতুন চাল বাজারে আসায় চালের দাম কমছে, যা মাসখানেক আগে বেড়েছিল। সরবরাহ ভালো থাকলে আরো কিছুটা দাম কমতে পারে।
এদিকে মোটা চালের পাশাপাশি প্রতিবস্তা মিনিকেট ৩ হাজার ৫০ টাকায় নেমেছে, যা আগের তুলনায় বস্তাপ্রতি ১০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। আগে খুচরায় প্রতি কেজি মিনিকেট ৭০ টাকা দরে বিক্রি হতো, যা এখন ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে এখনো কমেনি নাজিরশাইল চালের দাম।
বাজারে এখন দোকানগুলোতে থরে থরে সাজানো রয়েছে শীতের নানা ধরনের সবজি। সরবরাহ বাড়ায় দামও নাগালের মধ্যে রয়েছে। বেশিরভাগ সবজি ৫০ টাকার আশাপাশের দরে কেনা যাচ্ছে। বিশেষ করে শালগম, মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পেঁপে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে গ্রীষ্মের যেসব সবজি এখনো বাজারে রয়েছে সেগুলোর দাম একটু বেশি, ৬০ থেকে ৭০ টাকা।
অন্যদিকে বাজারে কিছুটা বেড়েছে মুরগির দাম। গত দুই দিনে কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। একই সঙ্গে বাড়ছে ডিমের দামও। তিন দিনে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজনে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। আগে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা বিক্রি হয়েছিল। দাম বেড়ে এখন ব্রয়লারের কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া বাদামি ও সাদা দুই ধরনের প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা দরে। তিন দিন আগে বাদামি ডিমের ডজন ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা এবং সাদা রঙের ডিমের ডজন ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল।
বাজারে এরই মধ্যে পেঁয়াজের দামে এসেছে স্বস্তি। এখন দেশি পুরোনো পেঁয়াজের কেজি ১৪০ থেকে ১৬০, ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি ১২০ থেকে ১৩০ এবং মুড়িকাটা পেঁয়াজের কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।