প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৭:০৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানী বন্ধের ঘোষণায় হঠাৎই অস্থির হয়ে যায় পেঁয়াজের বাজার। বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা।মুহুর্তেই পেঁয়াজের দাম বেড়ে দ্বিগুন হয়ে যায়। বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২২০ থেকে ২৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। তবে চার-পাঁচ দিন টানা অস্থিরতার পর বাজারে এসেছে নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ। আর তাতেই যেন স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে পেঁয়াজের বাজারে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা, কাওরান বাজার, শুক্রাবাদসহ আরও কয়েকটি কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ভ্যানগাড়িতে বিভিন্ন মহল্লার অলি-গলিতে ফেরি করে এ পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে। এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানে ধরণ ভেদে মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১০০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাতাসহ এ পণ্যের দাম নেমেছে ৬০ টাকা কেজিতে।
এদিকে দেশি পুরাতন পেঁয়াজ পাইকারি ১৩০ টাকা দরে আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা করে। ভারতীয় পেঁয়াজ প্রকারভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা দরে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের রবি মৌসুমে মোট দুই লাখ ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে ৩৬ লাখ ৭৩ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ৫৬ হাজার হেক্টরে এ বছর আবাদ করা হয়েছে মুড়িকাটা পেঁয়াজ। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় আট লাখ টন। দুই-তিন মাস দেশের বাজারে এ পেঁয়াজ থাকে। মার্চে হালি পেঁয়াজ আসা শুরু হবে। এর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ২৮ লাখ টন। দেশে পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ৩০ লাখ টন। সর্বশেষ অর্থবছরে ৩৪ লাখ টনের বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়।
এদিকে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় মাঠ পর্যায়ে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেয় সরকার। এছাড়া রাজধানীসহ সারা দেশে প্রায় তিন শতাধিক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীরা সরকারকে সহযোগিতা করেননি। বরং এ সময় তারা পণ্য হাতবদলের মাধ্যমে দফায় দফায় দাম বাড়িয়ে এ পণ্যে বাজার অস্থিতিশীল করেছেন। সরকার পেঁয়াজের বাজার পরিস্থিতির পর্যালোচনা করছে। অভিযোগের প্রমাণ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে অনেক ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। তবে মধ্যস্বত্বভোগীদের লাগাম টানা না গেলে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা কষ্টসাধ্য হবে।’