সরকারের নৈতিক পরাজয় ইতোমধ্যে হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান।
তিনি বলেছেন, সরকার একদলীয় শাসন কায়েম করে দেশের সবকিছু ধ্বংস করেছে। আমরা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছি। দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনব। আমরা রাজপথে আছি, রাজপথে থাকবো।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বিএনপির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, সুষ্ঠ ভোটে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করলে, আমি সর্বপ্রথম অভিনন্দন জানাবো।কিন্তু দেশের বাস্তবতা এখন ভিন্ন। আপনারা মানুষকে ভয় পান। মানুষের ভোটকে ভয় পান। সে জন্য এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে আপনারা ভোট ভাগাভাগিতে এখন ব্যস্ত। এখন যেটা হচ্ছে সেটা নির্বাচন নয়, সেটা হচ্ছে বানরের পিঠে ভাগাভাগি। সেই কাজ আপনারা প্রকাশ্যে করছেন, আপনারা জাতিকে কলঙ্কিত করছেন। যে দেশ গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীন হয়েছিল সেই দেশে এ নির্বাচনের প্রহসন চলতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, দুঃখের বিষয় স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা নেই, ভোটের অধিকার নেই, গণতন্ত্র নেই। এখানে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম হয়েছে। এখানে রাতে ঘরে কোনো মানুষ থাকতে পারে না, ভিন্নমতের কথা কেউ বলতে পারে না।
মঈন খান বলেন, “সবাইকে বাকশালের কথা বলতে হবে। এ কথা যারা না বলে, তারা তাদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এখানে মানুষ গুম হচ্ছে, রাজনৈতিক বিরোধীদের হত্যা করা হচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, গণতন্ত্রের অভাবে দেশে একটি সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। লাখ লাখ লোক বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল, তারা চেয়েছিল এখানে গণতন্ত্র থাকবে। পাকিস্তানিরা ভেবেছিল বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করলে বাংলাদেশ সেভাবে গড়ে উঠতে পারবে না। তাই তারা আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান মানুষগুলোর জীবন হরণ করেছিল। এর চেয়ে ঘৃণ্য কাজ আর হতে পারে না।
বিএনপির আন্দোলন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয় উল্লেখ করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একটি উদ্দেশ্য নিয়েই সংগ্রাম করছি। এটা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। আজ সত্য উপলব্ধি করেছে বলেই কোটি কোটি লোক নেমে এসেছে। তারা বর্তমান সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই সরকারের নৈতিক পরাজয় ইতোমধ্যে হয়ে গিয়েছে।