প্রকাশ: রোববার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৬:৩২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে, সাবেক সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের শিকার মুক্তিযোদ্ধা সেনা-অফিসারদের স্বজনদের সংগঠন "মায়ের কান্না" আজ রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে এক প্রতিবাদী মানববন্ধনের আয়োজন করে।
গুলশান-২ নাম্বার গোলচত্তরে আয়োজিত এই মানববন্ধনে সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের শিকার মুক্তিযোদ্ধা সেনা-অফিসারদের বৃদ্ধ পিতা-মাতা এবং সন্তানেরা উপস্থিত ছিলেন।
RISE OF PEACE স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে মানববন্ধনে দাঁড়ানো নিহত সেনা- অফিসারের স্বজনরা ৪৫ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের বিচার না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একদিকে এভাবে বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে প্রশ্রয় দিয়ে অন্যদিকে মানবাধিকার দিবস পালনের কোনো মানে হয় না।
জিয়াউর রহমানের সাজানো ২৬টি ক্যু-এর ঘটনায় সাজানো বিচারে আড়াই হাজারের ওপর সেনাসদস্যকে শুধু হত্যাই করা হয়নি, হত্যাযজ্ঞের যাবতীয় নথিপত্রও খুনী জিয়া পুড়িয়ে ফেলেছিল বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে, মরনোত্তর জিয়ার বিচার ও শাস্তি দাবি করেন নিহতদের স্বজনেরা।
"মায়ের কান্না" সংগঠনের আহ্বায়ক কামরুজ্জামান মিয়া লেলিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অতীতে খুনী জিয়া যেভাবে সুকৌশলে রাতের অন্ধকারে সেনাবাহিনীকে কর্মরত হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছিল, সেই একই ধারাবাহিকতায় জিয়ার দল বিএনপিও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে উঠেপড়ে লেগেছে, আর তারই ধারাবাহিকতায় আজও তারা অগ্নিসন্ত্রাস এবং মিথ্য-অপপ্রচারের মতো নোংরা রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে।
মানববন্ধনে বক্তারা সংসদ ভবন চত্ত্বর থেকে জিয়াউর রহমানের মাজার যত দ্রুত সম্ভব সরিয়ে ফেলার দাবি জানিয়ে বলেন, একজন খুনীর মাজার এখানে রেখে মহান সংসদ ভবনকে প্রত্যক্ষভাবে অবমাননা করা হচ্ছে।