গেল ১৫ বছরে পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর বার্ষিক আয় বেড়েছে ১৩ গুণ। আর এই সময়ের মধ্যে তার অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ১৪৬ গুণ।
নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শামসুল হক টুকুর মনোনয়ন ফরমের সঙ্গে দাখিল করা হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
শামসুল হক টুকু নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ২ লাখ ৫ হাজার টাকা। আর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামায় বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ২৬ লাখ ৮৪ হাজার ৫৭৮ টাকা। অর্থাৎ গত ১৫ বছরে তার আয় বেড়েছে ১৩ গুণ।
অপরদিকে, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তিনি অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন তিন লাখ ৪৩ হাজার টাকা। আর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় দেখিয়েছেন ৫ কোটি ২৫ লাখ ৪ হাজার ৫৫৩ টাকা। হিসাব অনুযায়ী ১৫ বছরে তার অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ১৪৬ গুণ।
তবে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় তিন কাঠা জমির মালিকানা দেখালেও দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় সেটির তথ্য উল্লেখ নেই।
এদিকে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দাখিল করা হলফনামায় দেখানো ৮ তোলা স্বর্ণ দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় এসে ১০ তোলায় পরিণত হয়েছে।
নবম সংসদের হলফনামায় তার স্ত্রীর নামে নগদ ৮ হাজার টাকা ছিল। ব্যাংকে ছিল ৪১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। স্বর্ণ ছিল ১০ ভরি। ২০ লাখ টাকা মূল্যের অর্ধেক বাড়ির শেয়ার ছিল। দশম সংসদের হলফনামায় এসে সব মিলিয়ে দেখানো হয় এক কোটি ৫০ লাখ ৮৫ হাজার ৮০ টাকা।
এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তিনি একটি ব্যাংক থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকার ঋণ গ্রহণের কথা উল্লেখ করেছেন। আর দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় তিনটি ব্যাংকের ঋণের তথ্য দাখিল করেছিলেন। এবারের হলফনামায় ৮৬ হাজার ৯০০ টাকা মূল্যের একটি পিস্তল রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন শামসুল হক টুকু।
এবার স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ দেখিয়েছেন তিন কোটি ৭১ লাখ ৪১ হাজার ৩৬৬ টাকা। এছাড়া ৪০ হাজার টাকা মুল্যের ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী, ৫০ হাজার টাকা মূল্যের আসবাবপত্র, নগদ অর্থ ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ৪৭ লাখ ৬ হাজার ২৮৭ টাকা দেখিয়েছেন।
শামসুল হক টুকুর শিক্ষাগত যোগ্যতা এম কম, এলএলবি। পেশা আইনজীবী। তিনি এই পেশা থেকে বছরে ২ লাখ টাকা আয় করেন। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বাবদ বছরে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং সম্মানীভাতা বাবদ বছরে ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা আয় করেন।
সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর নিজ নির্বাচনি এলাকায় পৈত্রিক ভিটা ও পাবনা শহরে একটি বাড়ি রয়েছে। রয়েছে কৃষি জমিও। দাখিল করা হলফনামায় এসব তথ্য উপস্থাপন করেছেন তিনি।