বাংলাদেশ-মার্কিন সহযোগিতা সম্প্রসারণের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।
আমদানি করা মার্কিন কটনে ডাবল ফিউমিগেশন বিধি অপসারণ আমদানি প্রক্রিয়াকে সহজ করেছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) কটন ডে উপলক্ষে ঢাকায় কটন ইউএসএ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন বিজিএমইএ সভাপতি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে বৃহত্তর বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা রয়েছে। বাণিজ্য বাড়ানোর উপায়গুলোর মধ্যে কটন হচ্ছে একটি প্রতিশ্রুতিশীল খাত, যেখানে উভয় পক্ষের জন্যই বিশাল সুযোগ রয়েছে।
আমদানি করা মার্কিন কটনের ওপর সম্প্রতি বাংলাদেশের বাধ্যতামূলক ডাবল ফিউমিগেশন বিধি অপসারণের ইতিবাচক প্রভাবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা আমদানি প্রক্রিয়াকে সহজ করে, সময় সাশ্রয় করে, ঝামেলা এবং খরচ কমায়।
ফারুক হাসান আরও বলেন, যদি মার্কিন সরকার তাদের দেশ থেকে আমদানি করা তুলা দিয়ে তৈরি করা পোশাকের জন্য শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়, তাহলে তা বাণিজ্য সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত করতে পারে। এটা বাংলাদেশের পোশাক রফতানিকারকদের পণ্য রফতানির জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা তুলা ব্যবহার করতে উৎসাহিত করবে।
এই পদক্ষেপের কারণে শুধুমাত্র বাংলাদেশি পোশাক রফতানিকারকরাই উপকৃত হবেন তা নয়, বরং এতে করে মার্কিন তুলাচাষিরা, সরবরাহকারী এবং ভোক্তারা লাভবান হবেন বলে জানান বিজিএমইএ সভাপতি। তিনি বলেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তুলা আমদানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান বিবেচনা করে এ ধরনের কৌশলগত সহযোগিতার গুরুত্ব রয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, কটন কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনালের (সিসিআই) বাংলাদেশের জন্য প্রতিনিধি আলী আরসালান, সিসিআইর আঞ্চলিক পরিচালক উইলিয়াম বেটেনডর্ফ; বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন প্রমুখ।