মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এই খবর প্রকাশ করেছে।
জার্মানির এক ইহুদি পরিবারে ১৯২৩ সালের ২৭ মে জন্মগ্রহণ করেন কিসিঞ্জার। তার পরিবার পরে যুক্তরাষ্ট্র গমন করে। নিউ ইয়র্ক শহরে তিনি বেড়ে ওঠেন।
কিসিঞ্জার যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রভাবশালী কূটনীতিক ছিলেন, যিনি দুই প্রেসিডেন্টের অধীনে মার্কিন পরর্রাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। নিজ প্রতিভার ছাপ রেখে গেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে।
দীর্ঘ এ কর্মজীবনে সুখ্যাতি ও কুখ্যাতি উভয় অর্জন করেছেন কিসিঞ্জার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন এবং জেরাল্ড ফোর্ডের শাসনামলে দেশটির পররাষ্ট্রনীতিতে তার নেতৃত্ব এবং পর্দার আড়ালে ক্ষমতার কারসাজি বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছিল। ভিয়েতনাম থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার, চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন, মার্কিন-সোভিয়েত অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আলোচনা, ইসরায়েল ও তার আরব প্রতিবেশীদের মধ্যে সম্প্রসারিত সম্পর্ক তার কূটনৈতিক দক্ষতার প্রমাণ।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর ব্যাপক নৃশংসতা দেখেও যে ভূমিকা কিসিঞ্জার নিয়েছিলেন, সেজন্য তিনি অনেকের কাছে সমালোচিত। ১৯৭৩ সালে উত্তর ভিয়েতনামের লি ডাক থোর সঙ্গে হেনরি কিসিঞ্জারকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। তার কর্মের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করলেও সমালোচনা তার পিছু ছাড়েনি। তার এ পুরস্কার প্রাপ্তিও বিশ্বব্যাপী বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল।