জাতীয় সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তপশিল ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট দায়ের করেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন পেছানোর সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করা হয়েছে লিগ্যাল নোটিশে।
এর আগে ১৫ নভেম্বর ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। ভোটগ্রহণের ৫২ দিন আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইউনুছ আলী আকন্দ জানান, লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে আইনগত (হাইকোর্টে রিট) পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ঘোষিত তপশিল পেছানোর জন্য নোটিশে বলা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের বড় একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অনুপস্থিত রয়েছে। যদি তারা নির্বাচনে আসতে চায় সেক্ষেত্রে ভোটের তারিখ পেছানো উচিত। এ ছাড়া নির্বাচনের বিষয়ে বিদেশিদের চাপও রয়েছে।
লিগ্যাল নোটিশটি বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে কি না- জানতে চাইলে এই আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে নয়, জনস্বার্থে এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি।
তিনি বলেন, দেশে হরতাল-অবরোধ চলছে। মানুষের জানমালের ক্ষতি হচ্ছে। সবদিক বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচন পেছানোর দাবিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
এদিকে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মোঃ আনিছুর রহমান বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি না এটা তাদের একান্ত বিষয়। তবে তারা (বিএনপি) যদি নির্বাচনে আসার ইচ্ছে পোষণ করে তাহলে নির্বাচনের তপশিল পুনর্বিবেচনা বা পুনর্নির্ধারণের সুযোগ এখনও বিদ্যমান।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি আনিছুর রহমান বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে যা যা করা দরকার সব নির্দেশনা প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে। ইসির পক্ষ থেকে ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে বারবার নির্বাচনে আসার আহ্বান জানানো হচ্ছে। নির্বাচনে আসার অধিকার যেমন সবার আছে, তেমনি না আসারও অধিকার রয়েছে। তবে কাউকে বাধা প্রদানের অধিকার কারও নেই। কেউ যদি নির্বাচনে আসার ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত করে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।