পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির বিষয়টি সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডি আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করে আমরা প্রমাণ করে দেব নিরপেক্ষতার। এরপর দেশি-বিদেশি নানা জল্পনা-কল্পনা, ষড়যন্ত্র বন্ধ হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ৩০০ আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী থাকবে। তবে সমঝোতা হলে জোটের শরিকদের কিছু আসন ছেড়ে দেওয়া হবে।
শরিক দলের মধ্যে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। এর মধ্যে আমরা পর্যবেক্ষণ করবো, সমন্বয় করবো। যেখানে যা প্রয়োজন তা করবো। ১৭ তারিখের মধ্যে সবকিছু ফাইনালাইজড (চূড়ান্ত) করা হবে।
নৌকা মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতারাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে বিশৃঙ্খলা হবে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, আমরা দেখছি কারা কারা (নির্বাচনে অংশ নিতে) চাইছে। আমাদের কৌশলগত সিদ্ধান্ত আছে, ১৭ তারিখ পর্যন্ত সময় আছে। এর ভেতরে আমরা পরিবর্তন, সংশোধন করতে পারবো। আমাদের কৌশলগত দিক থাকবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনার কৌশল আওয়ামী লীগের নেই। তারা এলে স্বাগতম। তাদের দলের কেউ কেউ আসতে পারেন। কেউ কেউ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন। ৩০ তারিখের পর সব ঠিক হয়ে যাবে।
সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের মনোনীত প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মানার নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের টার্গেট হলো শান্তিপূর্ণ, অবাধ-সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, অর্থবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।