প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৩, ৬:০৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম সেশনটা ভালোই কেটেছিল বাংলাদেশ দলের।Bব্যাটিং পিচে প্রত্যেক ব্যাটারই পেলেন ভালো শুরু। কিন্তু সেট হয়ে উইকেট বিলিয়ে দেওয়াতেই যেন সবাই বেশি মনযোগী ছিলেন। আর তাই ভালো কিছুর সম্ভাবনা থাকলেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিন শেষে খুব বেশি স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম দিন শেষে ৯ উইকেটে ৩১০ রান করেছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দলের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান। ইনিংসের শুরু থেকে দেখেশুনে খেলতে থাকেন তারা দুজন।
ম্যাচের ১৩তম ওভারে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে আঘাত হানেন অ্যাজাজ প্যাটেল। তার ঘূর্ণিতে সাজঘরে ফেরেন জাকির (১২)। তিনে নেমে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে বেশি সময় উইকেটে টিকতে পারেননি তিনি।
অতি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে গ্লেন ফিলিপসের বলে ব্যক্তিগত ৩৭ রানে কেন উইলিয়ামসনের তালুবন্দী হন এ বাঁ-হাতি ব্যাটার। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে বড় পুঁজির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন মুমিনুল হক ও মাহমুদুল হাসান জয়।
দ্বিতীয় সেশনের শেষদিকে অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই ব্যাটারই আউট হন। ফিলিপসের বলে ৩৭ করে মুমিনুল ফিরলে ভাঙে জয়ের সঙ্গে তার ৮৮ রানের জুটি। সেঞ্চুরির পথে এগোতে থাকা জয়কে পরাস্ত করেন ইশ সোধি। ৮৬ রান করেন এ ওপেনার।
দ্রুতই দুই উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম ও এ ম্যাচে অভিষিক্ত শাহাদাৎ হোসেন দিপু। দ্বিতীয় সেশনের বাকি সময় আর কোনো উইকেটের পতন ঘটতে দেননি দুজন। তবে তৃতীয় সেশনের শুরুর দিকেই ধৈর্য্য হারান মুশফিক।
চাপহীন খেলার মাঝে আচমকা আজাজ প্যাটেলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে উইলিয়ামসনের হাতে বন্দী হন মুশফিক। ১২ রানে করেন তিনি। মেহেদী হাসান মিরাজ ২০ ও নুরুল হাসান সোহান ২৯ রানের বেশি করতে পারেননি।
সোহানের আগে অভিষিক্ত শাহাদাৎকে ২৪ রানে ফেরান ফিলিপস। ১৬ রান করেন নাঈম হাসান। দিনের শেষভাগে লড়েছেন তাইজুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম। দুজনের দৃঢ়তায় প্রথম দিনে অল আউট হয়নি বাংলাদেশ।
আলোক স্বল্পতায় ৫ ওভার বাকি থাকতেই দিনের খেলার ইতি টানেন আম্পায়াররা। তাইজুল ৮ ও শরিফুল ১৩ রানে ব্যাট করছেন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ফিলিপস ৪টি, জেমিসন ও আজাজ দুটি এবং সোধি একটা করে উইকেট নেন।