বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: কর্মোপযোগী শিক্ষার মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত উন্নতি সম্ভব   নববর্ষের আনন্দ যেন বিষাদের কারণ না হয়: রাষ্ট্রপতি   নির্বাচনে ২১ সদস্যের মনিটরিং সেল গঠন ইসির   দেশজুড়ে যে তিনদিন মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা!   মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি ৯ জানুয়ারি   প্রাথমিকের ছুটি বাড়ল ১৬ দিন (তালিকা)   নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিএনপির প্রচারণা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
আসন সমঝোতার অপেক্ষায় আ.লীগের শরিকরা
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: সোমবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৩, ১১:২৩ এএম আপডেট: ২৭.১১.২০২৩ ১১:৩১ এএম | অনলাইন সংস্করণ

সরকার পতন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো। এর বিপরীতে আওয়ামী লীগ কর্মসূচি পালন করে রাজপথে অবস্থান নিচ্ছে। তবে দলটির নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটকে রাজপথে সেভাবে সক্রিয় থাকতে দেখা যাচ্ছে না। এমনকি অন্যতম বিরোধীরা ভোটে না আসায় ক্ষমতায় যেতে জোট গড়ার প্রয়োজন আছে কিনা সেই প্রশ্ন সামনে এনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে। দলটির জোট শরিকরা বলছেন, তাদের সঙ্গে আসন সমঝোতা তো দূরের কথা, আসন বণ্টন নিয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি। তবে আগামী দুই দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত আলোচনা হওয়ার আশা করছেন তারা।

রবিবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮টিতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বাকি দুইটি আসনে প্রার্থী পরে ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি। এর মধ্যে একটি আসন ১৪ দলের অন্যতম শরিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর। অপরটিতে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) এ কে এম সেলিম ওসমান বর্তমান সংসদ সদস্য।

এছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বচনে ১৪ দলীয় জোট ও মহাজোটকে (বিকল্প ধারা, জাতীয় পার্টি) ছেড়ে দেওয়া ৩১টি আসনে নিজেদের প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশাহ ও জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আকতারসহ জোট শরিকদের আসনগুলোতে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে। অবশ্য জোটের একাধিক দলের নেতা এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম নিলেও তাদের প্রার্থী করেনি আওয়ামী লীগ।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যখন মহা উৎসবে প্রায় সব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করছে, এরপরও দলটির দিকে তাকিয়ে আছেন ১৪ দলের শরিক দলগুলোর নেতারা। এবার বেশি আসন ছাড়ের আশা করে আসলেও এখন খোদ আসন সমঝোতা নিয়েই শঙ্কায় থাকার কথা জানিয়েছেন কয়েকজন নেতা। এই শঙ্কার মূলে রয়েছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অতি সাম্প্রতিক জোট নিয়ে দেওয়া বক্তব্য।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাইছাইয়ের মধ্যেই শনিবার (২৫ নভেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শরিক সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত আমাদের এখনও হয়নি। আমরা এখনও ঠিক করিনি শরিকদের আসলে আমাদের প্রয়োজন আছে কিনা। জোটের বিপরীতে জোট, আমাদের প্রতিপক্ষ যদি বড় জোট করতো, তাহলে তার বিপরীতে আমাদের জোট হতো। তাছাড়া আমরা কেন অহেতুক জোট করতে যাবো? প্রয়োজন না থাকলে তো জোট করবো না। আর জোট করবো যাদের নিয়ে, তাদের তো মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে।’

এমতাবস্থায় ১৪ দলের বড় কয়েকটি শরিক দলের শীর্ষ নেতারা বলেন, তারা ১৪ দলীয় জোটগতভাবেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চান। জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুও ১৪ দল জোটগতভাবে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন।

দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অবস্থা ও বৈশ্বিক চাপের মধ্যে এই নির্বাচনকে আওয়ামী লীগও 'অগ্নিপরীক্ষা' হিসেবে দেখার কথা বলছে। এই কারণে জোট শরিকরা এখনও আওয়ামী লীগের দিকে তাকিয়ে আছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মিলন বলেন, আসন সমঝোতার বিষয়ে আমাদের সঙ্গে এখনও কোনও আলোচনা হয়নি। তবে তারা আশ্বস্ত করেছে আমাদের সঙ্গে সমঝোতা করবে। তারা দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পরই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তারা জানিয়েছে সমঝোতার পথ আছে। দেখা যাক কী হয়।

জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরিন আকতার বলেন, দেখলাম তারা নমিনেশন ঘোষণা করেছে। আওয়ামী লীগ থেকে জানানো হয়েছে দুই একদিনের মধ্যে ১৪ দলের সভা হবে। সেখানে হয়তো সমঝোতা হবে। আমরা সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করি।

জাতীয় পার্টির জেপি মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরাও দেখলাম আওয়ামী লীগ ২৯৮ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে। গত তিন টার্ম সমঝোতার পরে মনোনয়ন ঘোষণা হলেও এবার কেন এককভাবে আগেই ঘোষণা করলেন সেটার কারণ উনারাই বলতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন শিগগিরই তিনি ১৪ দলের সঙ্গে বসবেন। উনার সঙ্গে বসলে হয়তো এটার একটা নতুন সমাধান হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের প্রার্থিতা ঘোষণায় আশা-হতাশা কোনটাই দেখছি না। তবে কিছুটা হতাশ এই কারণেই যে, উনারা যেভাবে নমিনেশন দিয়েছেন সেভাবে নির্বাচন হলে যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে সেটা সম্ভব হবে না। আর ওই নির্বাচনের পরে যে সরকার হবে সেখানে বিরোধী দলের অবস্থান-শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।

এক প্রশ্নের জবাবে শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, জানি না কেন ওনারা এভাবে নমিনেশন ঘোষণা করলেন। হয়তো নির্বাচনি মাঠ সরগরমের জন্য এটা করতে পারেন। তবে যেটা হয়েছে তা সরগরমের পরিবর্তে  নির্বাচনি মাঠকে স্থিমিত করবে।

এদিকে জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় পার্টি-জেপি, তরিকত ফেডারেশনসহ ১৪ দলের শরিক দলগুলো দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ার শুরু করেছে এবং এগিয়ে নিচ্ছে। কোনও কোনও দল দলীয় প্রার্থী চূড়ান্তও করেছে। সম্ভাব্য এসব প্রার্থীরা প্রচারণা চালিয়ে আসছেন।

প্রসঙ্গত, নবম, দশম ও চলতি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরিক দলগুলোর সঙ্গে আওয়ামী লীগ আসন ভাগাভাগি করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। ওইসব নির্বাচনের ক্ষেত্রে দেখা গেছে দলীয় প্রার্থী ঘোষণার আগেই জোট নেতাদের সঙ্গে বসে আসন সমঝোতার বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। সমঝোতার মাধ্যমে যেসব আসন ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে সেই সব আসনে আওয়ামী লীগ নিজেদের প্রার্থী দেয়নি। বিপরীতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতার আসনে ১৪ দলীয় জোটের কোনও দলও প্রার্থী দেয়নি।

গত তিনটি নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে এমনটি আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা আগে থেকে বলে আসছে। এর অংশ হিসেবে ১৪ দলীয় শরিকদের মধ্যে নিবন্ধিত দলগুলোর প্রায় সবগুলোই নির্বাচন কমিশনে তাদের দলীয় প্রতীকের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকায় ভোট করবে বলে জানিয়েছে। আওয়ামী লীগ ইসিতে পৃথক চিঠি দিয়ে এই দলগুলোর নৌকা প্রতীকে ভোটের বিষয় তাদের সম্মতিও জানিয়েছে। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]