প্রকাশ: সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৩, ৯:৪৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
নির্মানের আটমাস যেতে না যেতেই ভেঙ্গে গেছে সড়ক ও ইউড্রেন। ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নে সাড়ে ৫ কিলোমিটার পাকা সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার ৮ মাস যেতে না যেতেই এখানে সেখানে ভেঙ্গে গেছে। সড়কটিতে দুটি ইউড্রেন ভেঙ্গে গেছে। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে বিপদজ্জনক বিশাল গর্তের। বিভিন্ন স্থানে এজিনের পার্শ্বে মাঠি না থাকায় ইট সরে যাচ্ছে। এতে চলাচলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পথচারী ও যানচালক সহ স্থানীয়রা।
এলজিইডি অফিস সুত্রে জানা গেছে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের বরাদ্ধে ভাংনামারী ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়া বয়রা থেকে নাওভাঙ্গা পর্যন্ত সাড়ে ৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হয়। যার কাজ শেষ হয় চলতি বছরের (এপ্রিল) মাসের শেষের দিকে। বরাদ্ধের পরিমাণ ছিল ৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা সড়কটি নির্মান কাজ পায় ময়মনসিংহ সদরের ইশতিয়াক আহম্মেদ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্টান। (২০ নভেম্বর) সোমবার স্থানীয় এলজিইডি অফিসে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে উপজেলা প্রকৌশলীকে অফিসে না পেয়ে অফিসে থাকা সার্ভেয়ার এনামুল হকের কাছে তথ্য চাইলে তিনি রাগান্বিত হয়ে প্রতিবেদককে বলেন, আপনি যা পারেন তাই করেন, তথ্য আমার কাছে নাই।
গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটির দুই পাশে এখানে সেখানে ভাঙ্গা। অনেক জায়গায় বৃষ্টির পানিতে ভেঙ্গে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে ইটের খোয়া বের হয়ে আছে। সড়কের দুই স্থানে দুইটি ইউড্রেন ভেঙ্গে গেছে। কোথাও কোথাও মাটি সরে গিয়ে যানবাহন চলাচলে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, নিন্মমানের উপকরন দিয়ে ঠিকাদারের খেয়াল খুশি মতো কাজ করায় সড়কটি নির্মাণের কয়েক মাস যেতে না যেতেই ভেঙ্গে গেছে, কিছুদিন আগে ঠিকাদার ঠিক করে দিলেও এখন বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার দুটি ইউড্রেন ভেঙ্গে গেছে। এখন কেউ খবর নেয়না আমরা চলাচল করতে পারিনা। পিছ ঢালাই হয়েছে ৮ মাস হয়েছে।
স্থানীয় যুবলীগ নেতা মানিক মিয়া জানান, বর্তমান সরকারের দূর্নাম করছে ঠিকাদার ও এলজিডি অফিস। সরকার এত টাকা দিচ্ছে ঠিকাদার নিজের ইচ্ছে মতে কাজ করে বিল উত্তোলন করে নিয়ে গেছে। বর্তমানে আমরা এই রাস্তা দিয়া আমরা চলাচল করে পারিনা। দুটি ইউড্রেন ভেঙ্গে গেছে।
ইশতিয়াক আহম্মেদ এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি ইশতিয়াক ফারুক আহাম্মদ বলেন, কয়েকবার রাস্তার কাজ ঠিক করে দিয়েছি। পানির কারণে রাস্তাটি ভেঙ্গে গেছে। আমি কি করব।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) অসিত বরণ দেব জানান, আমরা যাব গিয়ে দেখব এই বলে সংযোগটি কেটে দেন।
এবিষয়ে মন্তব্য জানতে নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ এনায়েত কবীরের মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।