জোরেশোরে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিকরাও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা দ্রুত জোটের মধ্যে আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করতে চায়।
নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া দলগুলো হলো— আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি (জেপি), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), গণতন্ত্রী পার্টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)।
আজ শুক্রবার দুপুর ৩টায় আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম সভা হতে যাচ্ছে। এতে নেতৃত্ব দেবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কমিটির চেয়ারম্যান শেখ হাসিনা। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ঢাকা জেলা ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বৈঠকটি হওয়ার কথা।
নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে দলের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজকের বৈঠক থেকে নির্বাচন পরিচালনার জন্য কয়েকটি উপকমিটি গঠন করা হবে।
প্রতীক বরাদ্দের আগ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচার শুরু হবে না। তবে নৌকার পক্ষে নিজ নিজ এলাকায় কাজ করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি যেন লঙ্ঘন না হয়, সেদিকেও নেতাদের খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।
দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের নামে বিরোধীদের তত্পরতা ঠেকাতে নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার নির্দেশনা আগেই দেওয়া আছে।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের সবাই নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছে। এখন সাংগঠনিক সিদ্ধান্তগুলো ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।’
আওয়ামী লীগের আজকের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছেন শরিক দলের বড় নেতারা। শরিক জোটের প্রভাবশালী নেতা বলেন, ‘আগামী এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে আসন বণ্টন হয়ে যাওয়া উচিত। সে বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। জোটের সবাই নির্বাচনমুখী চিন্তা করছে। জোটে কোনো পরিবর্তনের এখন সম্ভাবনা নেই। সবাই এক হয়েই নির্বাচনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’
জানতে চাইলে জোটের শরিক বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘নির্বাচনে আমরা অংশ নিচ্ছি। জনগণ যেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে আসতে পারে, সেই পরিস্থিতি তৈরিতে আমরা কাজ করছি। সেই সঙ্গে যেকোনো ধরনের নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম ঠেকাতে আমরা মাঠে থাকব।’