প্রকাশ: বুধবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৩, ১০:০১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনিসংহের গৌরীপুরে ৫৬ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক। এসব বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত দিয়েই বছরের পর চলছে প্রতিষ্টান। শুধু তাই নয় উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্টানে সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ২৭ জন। বর্তমানে এ উপজেলা শিক্ষা অফিস ও প্রতিষ্টানে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে ধীর গতিতে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে ১০ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় ১৭৭ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ১৭৭ টি বিদ্যালয়ে বালক ২৮৬৬০ জন, বালিকা ২৯৩১৭ জন, সর্বমোট ৫৭৯৭৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এরমধ্যে ৫৬টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও ২৭ জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ।২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল চলতি দায়িত্বে ৩২ জন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। চলতি দায়িত্ব প্রাপ্তরা ১১ তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছে। এছাড়াও উপজেলা শিক্ষা অফিসে বড় পদ গুলোতে কর্মকর্তা থাকলেও ১ জন হিসাব সহকারী, ১জন অফিস সহকারী, ১ জন অফিস সহায়ক পদে শূন্যপদ রয়েছে।
জানা যায় বর্তমানে প্রধান শিক্ষক শূন্য বিদ্যালয় গুলোতে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সিনিয়র শিক্ষকরা।
এদিকে প্রশাসনিক কার্যক্রম পালন শেষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে হিমশিম খেতে হয় তাদের।
সচেতন অভিবাবকরা জানান বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ভিত শক্ত করার স্তর হলো প্রাথমিক। সেখানে যদি কোনো ত্রুটি থাকে তবে সেই শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক এবং ক্ষেত্র বিশেষ উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ভোগান্তিতে পড়বে । আরও জানান বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক বিভাগীয় শহর ও উপজেলা শহরে বসবাস করেন তারা সময়মতো বিদ্যালয়ে আসতে দেরি হয়। গৌরীপুরের অভিবাকরা প্রাথমিক খাতে দ্রুত পর্যাপ্ত প্রধান ও সহকারী শিক্ষক পদায়নের অনোরুধ জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা জানান দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি বন্ধ থাকায় সিনিয়র সহকারী শিক্ষকদের কাঁধে বাড়তি দায়িত্ব চেপে বসেছে। দায়িত্ব পালনকালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে আমরা তেমন কোন সুবিদা পাইনি।অফিসের কাজে দৌড়াদৌড়ি করে ক্লাস নিতে সমস্যা হয়।
কিল্লাতাজপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিবুর রহমান জানা ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল চলতি দায়িত্ব হিসেবে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পেয়ে ছিলাম কিন্তু আমরা বেতন পাই ১১ তম গ্রেড। চলতি হিসেবে শুধু পনের শত টাকা পাই সন্মানী হিসেবে পাই।
পাচ বছর হয়ে গেল আজও দশম গ্রেডে বেতন পাইনা। কোন সময় পাই আল্লাহই জানে।
২৭ নং কড়েহা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি জেসমিন আক্তার জানান আমাদের বিদ্যালয়ে শিক্ষকের পদ সংখ্যা ৭ জন তারমধ্যে আছে ৪ জন এর মধ্যে. ২০১৩ সাল থেকে প্রধান শিক্ষকের পদ ১০ বছর ধরে শূন্য। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত দিয়েই চলছে প্রতিষ্টান সহকারী শিক্ষকের ৩ টি পদ শূন্য। চারজন শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আন্জুমান আরা বেগম জানান দীর্ঘদিন পদ উন্নতি না থাকায় শূন্য হয়েছে জানান যে সকল বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে তালিকা তৈরি করে উর্ধতন কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছি।