প্রকাশ: শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৩, ৮:৫৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বরগুনার তালতলীতে সরকারী ৩১টি খাস পুকুর বেদখল হয়ে আছে। ২২টি পুকুর অবৈধভাবে দখলদার থেকে উদ্ধারের চেষ্টায় ইজারা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হলেও প্রভাশালীদের কারণে তা হয়ে উঠেনি। এতে কয়েক লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
জানা যায়, এ উপজেলায় ২৩ একর ৯৬ শতাংশ সরকারী খাস জমিতে ৩১টি পুকুর রয়েছে। এর মধ্যে ২২ একর সরকারী খাস জমিতে ২২ টি পুকুর অবৈধভাবে দখলদার থেকে উদ্ধারের চেষ্টায় ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা প্রশাসন। চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারী ২২টি পুকুর ইজারা দেওয়ার জন্য আবেদন আহব্বানে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপরে প্রভাবশালীরা সিন্ডেকেট করে কাউকে আবেদন করতে দেয়নি। তবে সেই সময় দুইটি পুকুরের ইজারা নেওয়ার জন্য মাত্র দুইটি আবেদন পড়ে। সেই আবেদন দুইটিও অসম্পূর্ণ থাকায় তাদের নামে খাস পুকুর ইজারা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এতে ঐ বছরের ২২ টি পুকুরের সম্ভাব্য মূল্যের হিসেবে কয়েক লাখ টাকা রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। এছাড়াও ৯টি খাস পুকুর পুরোপুরি দখল ও মাছ চাষের অনুপযোগী থাকায় সেই সময় ইজারা দেওয়ার জন্য ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই সকল পুকুর প্রভাবশালীদের দখলে রয়েছে। তারা প্রভাব খাটিয়ে মসজিদের নাম ব্যবহার করে নিজেরা মাছ চাষ করছে। এসব পুকুর রক্ষণাবেক্ষণ ও তদারকির দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখর করে মাছ চাষ করে আসছে। দখল করার সাইনবোর্ড হিসেবে মসজিদের নামে মাছ চাষের অজুহাদ দেখিয়ে নিজেরা সুবিধা নিচ্ছে।
এ বিষয়ে তালতলী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্ত বলেন, জলমহাল ইজারা দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি ওয়েবসাইট, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের নোটিশ বোর্ডে প্রচার এবং মাইকিং করা স্বত্বেও অনলাইনে ইজারার আবেদন না পাওয়ার ব্যাপারটি সত্যিই বিস্ময়কর। জলমহালসমূহ ইজারা না হওয়ায় সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এইসব জলমহাল দখলমুক্ত করে ইজারার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। আশা করি আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যাবে ও সরকারী রাজস্ব আদায় নিশ্চিত হবে।