প্রকাশ: শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৩, ৮:৫৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
হাইকোর্টের নির্দেশনা প্রদানের পরেও পার্বত্য অঞ্চলে অনুমোদনবিহীন অবৈধ ইটভাটা চালু থাকায় ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ইটভাটাগুলো বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে রাঙামাটির জেলা প্রশাসককে আইনী নোটিশ পাঠিয়েছে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি)। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, রাঙামাটি ছাড়াও পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের জেলা প্রশাসকদ্বয়কেও এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে সরেজমিনে কাউখালী গেলে সেখানে নাইল্যাছড়ি এলাকায় দেখা যায়, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গেড়ে দেওয়া ইটভাটা বন্ধের সাইনবোর্ড বিদ্ধমান থাকা অবস্থায়ও কাচাঁমাল দিয়ে ইট তৈরির কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। প্রত্যেকটি ইটভাটায় বিশেষভাবে সিসিটিভি লাগিয়ে কারা কারা ইটভাটায় যাচ্ছে সেটি পর্যবেক্ষণ করে তাৎক্ষনিকভাবে ইটভাটা কর্তৃপক্ষ সটকে পড়ে। সরেজমিনে গেলে এসকল ইটভাটাগুলো অবাধে পোড়ানো হচ্ছে বিক্রয় নিষিদ্ধ বনজ গাছ।
এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশনার পরেও পাহাড়ে অবৈধ ইটভাটা চালু থাকার বিষয়টি উঠে আসায় মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে গত বৃহস্পতিবার নোটিশ পাঠানো হয়। রেজিস্ট্রি ডাকে নোটিশটি পাঠান সুপ্রিম কোর্টে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি বলেন, ‘নোটিশ পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অবৈধ ইটভাটা বন্ধ না করলে জেলা প্রশাসকদের বিরুদ্ধে সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ অনুসারে অসদাচরণের দায়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে আদালতে আবেদন করা হবে।
নোটিশে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, ও বান্দরবান জেলায় অনুমোদনবিহীন, অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদের নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মালিক রিট করলে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সেসব রিট খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। এই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ইটভাটা মালিকরা পরে আপিল বিভাগে আবেদন করলে আপিল বিভাগ আবেদন দুটি নিষ্পত্তি করে রায় দেন। রায়ে চেম্বার আদালতের স্থিতিতাবস্থাও তুলে দেন আপিল বিভাগ। তারপরও প্রশাসনের সামনে ইটভাটা মালিকেরা লাইসেন্সবিহীন ইটভাটা পরিচালনা করলে নোটিশ দেয়া হয়। এ নোটিশের পর ইটভাটার সামনে সাইনবোর্ড দেয়া হয়। তবে আদালতের এই নির্দেশনা অমান্য করে ইটভাটাগুলোর কার্যক্রম চলছে বলে সম্প্রতি গণমাধ্যমগুলোতে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর এই নোটিশ দেন ওই আইনজীবী। এর আগে জুনে অবৈধ ইটভাটা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করতে তিন পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসককে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।