বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো তিনশো ছাড়ানো পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ।
শনিবার (১১ নভেম্বর) পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং পেয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৩০৬ রান। দল তিনশো ছাড়ালেও সেঞ্চুরি নেই কারো ব্যাটে। ফিফটি করেছেন কেবল তাওহিদ হৃদয়। ৭৯ বলে সর্বোচ্চ ৭৪ এসেছে তার ব্যাটে।
এছাড়া নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ইনিংস থেমেছে ভুল সময়ে। প্রত্যেকেই দারুণ ছন্দে খেলেও টানতে পারেননি।
ব্যাট করার জন্য দারুণ উইকেটে টস জিতে আগে ব্যাটিং পাওয়ায় অস্ট্রেলিয়াকে শুরুতে একটা ধন্যবাদ দিতে পারত বাংলাদেশ। এই মাঠে ভারতের বিপক্ষে খেলা ম্যাচটাতেও শুরু হয়েছিল দারুণ, এবারও তাই হলো।
তানজিদ হাসান তামিম কিছু ফ্লেয়ার দেখালেন আবার, লিটন দাস শুরুতে সতর্ক থেকে পরে মেলে ধরলেন ডানা। সহজেই আসতে থাকল রান।
দ্বাদশ ওভারে শন অ্যাবটের শর্ট বল ক্যাচ উঠিয়ে বিদায় তামিমের। লিটনকে এরপর মনে হলো দিশেহারা। সহজ রান যেখানে বেরুচ্ছে তিনি তিনি গেলেন ঝুঁকি। ৩৫ রানে একবার জীবন পেয়ে অ্যাডাম জাম্পাকে উড়াতে গেলেন লং অন দিয়ে। কিন্তু জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলা শটে থাকল না গায়ের জোর। ফলাফল অতি সহজ ক্যাচ, আরও একবার থিতু ইনিংস আত্মাহুতি দিয়ে ফেরত যান লিটন।
উইকেটের সহায়ক পরিস্থিতি দেখে দ্রুতই থিতু হয়ে গিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তার বিদায় রান আউটে। দারুণ এক থ্রোয়ে শান্তকে ফেরান মারনাশ লাবুশানে।
টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ নেমেই মারেন ছক্কা। আগ্রাসী মেজাজে রান বাড়াতে থাকেন তিনি। তবে তার বিদায়ও লাবুশানের কৃতিত্বে। হৃদয়ের ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে স্ট্রাইক প্রান্তে পৌঁছাতে পারেননি। ২৮ বলে ১ চার ৩ ছক্কায় থামেন অভিজ্ঞ ব্যাটার।
মুশফিকুর রহিম এমন আদর্শ কন্ডিশনে ছিলেন আড়ষ্ট। নিজের শেষ বিশ্বকাপ ইনিংস স্মরণীয় করে রাখা হয়নি তার। জাম্পাকে চার্জড করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২১ করে।
বাকিদের ব্যর্থতায় বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ফিফটি করে হৃদয় টেনে নিচ্ছিলেন ইনিংস। তবে স্লগ ওভারে মেরে খেলার চাহিদা মেটাতে গিয়ে কাবু তিনি। মার্কাস স্টয়নিসের মিডিয়াম পেস উড়াতে গিয়ে ধরা দেন বাউন্ডারি লাইনে। ৭৯ বলে ৭৪ করে থামে ডানহাতি তরুণের বিশ্বকাপ যাত্রা।
নাসুম আহমেদকে নিয়ে দলের রান তিনশো পার করান মেহেদী হাসান মিরাজ (২০ বলে ২৯)। তবে এই উইকেটে পুঁজিটা নিয়ে কতটা লড়াই করা যাবে দেখার বিষয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩০৬/৮। (তামিম ৩৬, লিটন ৩৬, শান্ত ৪৫, হৃদয় ৭৪, মাহমুদউল্লাহ ৩২, মুশফিক ২১, মিরাজ ২৯, নাসুম ৭, শেখ মেহেদি ২*, তাসকিন ০*; হ্যাজেলউড ৭-১-২১-০, কামিন্স ৮-০-৫৬-০, অ্যাবোট ১০-০-৬১-২, মার্শ ৪-০-৪৮-০, জাম্পা ১০-০-৩২-২, হেড ৬-০-৩৩-০, স্টয়নিস ৫-০-৪৫-১)