প্রকাশ: বুধবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৩, ৮:০০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষকের জেলা কার্যালয় ও সাতছড়ি তেলমাছড়া বন বিটে মজুত রাখা বন বিভাগের হাতে জব্দ হওয়া কোটি টাকার গাছ খাচ্ছে মাটি আর আগাছায়। জানা গেছে, মামলার দীর্ঘসূত্রতার কারণে সেখানে খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখা এসব গাছ ভিজে পঁচে নষ্ট হচ্ছে। দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর মামলা নিষ্পত্তি হলেও দেখা যায় এসব গাছের গুঁড়ি ব্যবহার বা বিক্রির উপযুক্ত থাকে না।
স্থানীয় বনাঞ্চল থেকে চুরি বা পাচারের সময় জব্দ করা সেগুন, চাপালিশ, চিকরাশি, মেহগনি, আকাশিসহ বিভিন্ন প্রজাতির শত শত ঘনফুট গাছের গুঁড়ি বছরের পর বছর ধরে মামলার আলামত হিসেবে সাতছড়ি, তেলমাছড়া ও বন বিভাগের সামনে পড়ে আছে। এসব দপ্তরের সামনে পড়ে রয়েছে এমন প্রায় পাঁচ শতাধিক গাছ। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৭-৮ কোটি টাকা। এসব গাছ স্তুূপ করে রাখায় বন বিভাগও পড়েছে বিপাকে। গাছগুলো নষ্ট হওয়ার আগে সরকার নিলামের ব্যবস্থা করলে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে বিপুল অর্থ জমা হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বন বিভাগ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সাতছড়ি, তেলমাছড়া, রেমা-কালেঙ্গা, রঘুনন্দনসহ বিভিন্ন বাগান থেকে গাছ কেটে পাচার ও লুটের সময় বন বিভাগসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করে। পরে এসব গাছ মামলার আলামত হিসাবে বন বিভাগ চত্বরে রাখা হয়। মামলা নিষ্পত্তি হতে বছরের পর বছর সময় লাগার কারণে মূল্যবান এসব গাছ নষ্ট হয় পড়ে থাকে। দিন দিন জব্দকৃত গাছের সংখ্যা বেড়ে বন বিভাগের কাঁধে যেমন বোঝা হয়েছে, তেমনি বন বিভাগের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ তারেক রহমান জানান, আটক হওয়া এসব গাছ আমাদের কার্যালয়ের সামনে গাছগুলো নষ্ট হচ্ছে এবং মাটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। আদালতের অনুমতি পেলে জব্দকৃত গাছগুলো নিলামে বিক্রি করে দিলে সরকারের কোষাগারে টাকা জমা হবে। তাছাড়া জব্দকৃত মালামালের বিষয়টি আদালতের সিদ্ধান্ধ ছাড়া আমাদের কিছুই করার নেই। এসব গাছ যাতে নষ্ট না হয়, সে বিষয়ে আমি আদালতের সঙ্গে পরামর্শ করব, যাতে এসব মামলার বিষয়ে দ্রত ব্যবস্থা নেন।
এছাড়াও উপজেলার সাতছড়ি ও তেলমাছড়া বন বিটে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে অযত্ন-অবহেলায় কয়েকশ ফুট মূল্যবান কাঠ পচে মাটির সঙ্গে মিশে নষ্ট হচ্ছে।
সাতছড়ি বন বিভাগের রেঞ্জার মোঃ আল আমীন জানান, বিভিন্ন সময় চোরা কারবারিসহ এসব গাছ উদ্ধার করে এখানে রাখা হয়েছে। মামলা জটিলতায় কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা বিভিন্ন সময়ে আদালতে আবেদন করেছি। অনুমতি পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।