নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে মতপার্থক্য নেই বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।
মঙ্গলবার বিকেলে ইসি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।এ সময় নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে মতপার্থক্য আছে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন সংবাদের উল্লেখ করে প্রশ্ন করা হলে ইসি সচিব বলেন, 'অবশ্যই কোনো মতপার্থক্য নেই।
মঙ্গলবার সিইসি ও অন্য তিন নির্বাচন কমিশনার সকালেই নির্বাচন ভবনে আসেন। নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান আসেন বেলা ৩টার কিছুক্ষণ আগে। ইসি আনিছুর ইসিতে আসার কিছুক্ষণ পর প্রথমে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব ও বেগম রাশেদা সুলতানা সিইসির কক্ষে যান। এর কিছুক্ষণ পর নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান সিইসির কক্ষে যান। সেখানে প্রায় ঘণ্টাখানেক থাকার পর সবাই বের হয়ে যাঁর যাঁর কক্ষে যান। এ সময় ইসি সচিবও সিইসির কক্ষে ছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে নির্বাচন ভবনে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল হামিদুল হক এবং পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলামের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেন সিইসি।
এরপর বিকেলে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল টি এম জোবায়েরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
এসব বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, “যেহেতু সামনে আমাদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় রয়েছে, এ জাতীয় সাক্ষাৎ, আলোচনা প্রতিদিনই হতে পারে।”
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা আন্দোলনে থাকা বিএনপি ও শরিক দলের অবরোধ কর্মসূচির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সার্বিক বিষয়ে অবহিত করবেন কমিশনের সদস্যরা। এরপর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল দেওয়ার কথা রয়েছে।
ভোট সামনে রেখে ৩০ অক্টোবর আইন শৃঙ্খলা সভা করে ইসি। সেই সভা শেষে ইসি সচিব বলেছিলেন, “গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানরা যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাদের যে প্রতিবেদন- এখন পর্যন্ত নির্বাচন আয়োজনে বড় ধরনের কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। হরতালের পর অবরোধ দিয়েছে বিএনপি, সে বিষয়ে তারা সতর্ক রয়েছেন, যাতে আইন শৃঙ্খলার কোনো অবনতি না ঘটে।”
সচিব সেদিন জানান, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময়, তফসিল ঘোষণার পরে, নির্বাচনের সময় যখন যে পরিস্থিতি আসবে, তখন আইন শৃঙ্খলাবাহিনী কমিশনকে তা অবহিত করবে এবং কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
এর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরে দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় তফসিল ঘোষণার দিন ঘিরে নির্বাচন ভবনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছিল।