প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৩, ৯:২৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার আড়িয়ল বিলের বিভিন্ন জমি আগাম সরিষা আবাদ শুরু হয়েছে। সরিষার বীজ বপনের জন্য জমি প্রস্তুত করা হচ্ছে। এরই মধ্যে স্থানীয়রা জমিতে সরিষার বীজ বপণে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। উপজেলার আড়িয়ল বিল এলাকার মদনখালী, বাড়ৈখালী, শ্রীধরপুরে আগাম সরিষার আবাদ করা হচ্ছে। এছাড়াও উপজেলার আলমপুর, ষোলঘর, বীরতারা, আটপাড়া এলাকার বিভিন্ন জমিতে সরিষার চাষাবাদ করা হলেও এসব জমিতে পানি নিস্কাশনের আপেক্ষায় আছেন কৃষকরা। তবে যাবতীয় কৃষি উপকরণসহ জমি হালচাষ ও শ্রমিক মজুরী বৃদ্ধির ফলে সরিষা চাষে কিছুটা ব্যয় বাড়ছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরিষা ক্ষেতিতে লাভের স্বপ্ন দেখছেন তারা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, আড়িয়ল বিল এলাকার উঁচু জমিতে হাইব্রিড বারি-১৯ জাতের সরিষা চাষ করা হয়েছে। দেশী জাতের রাই/চৈতা ও মাঘি সরিষার বীজ বপন করছেন কৃষকরা। এছাড়া অসংখ্য জমিতে বীজ বপনের জন্য পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও হালচাষ করা হচ্ছে। শ্রীধরপুরের গাজী আব্দুল মান্নান বলেন, গতবার প্রায় ৬০ শতাংশ জমিতে সরিষার চাষ করেন। অনা বৃষ্টির কারণে কাঙ্খিত ফলন না পেলেও উৎপাদিত সরিষার দাম পাওয়ায় তিনি সন্তুষ্ট। এবারও সরিষা চাষের জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। পশ্চিম হাঁসাড়ার মো. তালেব মিয়া বলেন, ১৪০ শতাংশ (এক কানি) জমিতে সরিষার চাষ করার আপেক্ষায় জমি প্রস্তুত করছেন। মদনখালীর নাজিবর হোসেন, আব্দুল কাইয়ুম, সাইদুল ইসলাম বলেন, হাইব্রিড সরিষার চাষে গেলবার ভাল ফলন পাওয়ায় এচাষে তাদের আগ্রহ বাড়ছে। সরিষার পাইকারী বাজার ভালো হওয়ায় এর আবাদ বেড়েছে।
সাবেক শিক্ষক আব্দুল বারেক বলেন, তিনি ৩৫ শতাংশ জমিতে শ্বেতী সরিষার বীজ বপন করছেন। প্রতি তিনি ধারনা করছেন আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরিষার কাঙ্খিত ফলন হবে। গেল বছর উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৪০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সরিষার আবাদ হয়। সরিষার ক্ষেতের প্রদর্শনী ছিল ৬০টি। সরিষার আশানুরূপ ফলন ও কাঙ্খিত বাজার মূল্য পাওয়া সংশ্লিষ্ট কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গেল বছর উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৪০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সরিষার আবাদ হয়। সরিষার আশানুরূপ ফলন ও কাঙ্খিত বাজার মূল্য পাওয়ায় কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হন। এতে স্থানীয়দের এচাষে আগ্রহ বেড়েছে। শ্রীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার মোহসিনা জাহান তোরণ জানান, উপজেলায় ৫৭৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে। প্রণোদনার আওতায় ১৬০০ জন কৃষককে উন্নতজাতের সরিষার বীজ ও প্রয়োজনীয় সার প্রদান করা হয়েছে।