প্রকাশ: সোমবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৩, ৬:৫৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
রায় প্রতিপালন না করার অভিযোগে এবং আদালতে হাজির না হওয়ায় ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আলী রেজা ইফতেখারের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ছয় মাসের জন্য এ সংক্রান্ত রায় স্থগিতের পাশাপাশি মূল মামলাটি বাতিল প্রশ্নে রুল জারি করেছেন আদালত।
রবিবার (৫ নভেম্বর) মামলার আইনজীবীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, আশরাফ উল আলম নামক ব্যক্তি ২০০৬ সালের ২ এপ্রিল ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডে সিনিয়র অফিসার পদে যোগদান করে দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে কাজ করে আসছিলেন। ২০১৮ সালের ২১ মার্চ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন এবং বাংলাদেশ ব্যাংক (বিআরপিডি সার্কুলার নম্বর ১৮, তারিখ ২৭.১০.২০১৩)-কে ভঙ্গ করে দরখাস্তকারীকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করে। এরপর একই বছরের ১৯ এপ্রিল চাকরি ফেরত চেয়ে আবেদন করা হলেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কোনও সাড়া দেয়নি।
পরে প্রতিকার খুঁজতে ২০১৮ সালের ৬ জুন আশরাফ বাদি হয়ে ঢাকার শ্রম আদালত-২ এ ব্যাংকটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। চলতি বছরের ৩১ মে এই মামলায় রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে ৪৫ দিনের মধ্যে আশরাফকে তার প্রাপ্যসহ চাকরি ফেরত দিতে দুই আসামির প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে সেই রায় প্রতিপালন না করায় বাদি ব্যাংকটির এমডি আলী রেজা ইফতেখার ও হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলমকে আসামি করে আদালত অবমাননার আবেদন জানান। ওই আবেদনের পর মামলার দ্বিতীয় আসামি মঞ্জুরুল আলম গত ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন। তবে ব্যাংকটির এমডি আলী রেজা ইফতেখার আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এরপর সেই পরোয়ানা আদেশ ও রায়ের বিরুদ্ধে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আবেদন করা হলেও তা খারিজ হয়ে যায়।
এরপর শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা হাইকোর্টে রিট দায়ের করলে গত ১৬ অক্টোবর মামলার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্ল্যার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট বিএম ইলিয়াস ও মো. মাহবুবুর রহমান কিশোর। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী প্রমুখ।