রাজধানী ঢাকার ২০টি সংসদীয় আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য রয়েছেন ১৭ জন। জাতীয় পার্টির ২ জন এবং ওয়ার্কাস পার্টির একজন। আওয়ামী লীগের ১৭ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ৫টি আসনে প্রার্থী পরিবর্তন হতে পারে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক নেতা। অন্য সব আসনে প্রার্থী অপরিবর্তিত থাকবে। ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ১২ জন সংসদ সদস্যকে সবুজ সংকেতও দিয়েছেন।
মনোনয়ন বোর্ডে থাকা একজন দায়িত্বশীল নেতা ভোরের পাতাকে বলেন, ঢাকার যেসব আসনে যোগ্যতম প্রার্থীদেরই বাছাই করা হবে। শরিক দলের তিনটি আসনের মধ্যে একটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দিতে পারে, সেক্ষেত্রে অন্য একটি আসন বা ঢাকার বাইরের কোনো আসন ছেড়ে দেয়া হতে পারে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ইতিমধ্যেই ঢাকা -১ সালমান এফ রহমান, ঢাকা-২ মো. কামরুল ইসলাম, ঢাকা -৩ নসরুল হামিদ বিপু, ঢাকা-৯ সাবের হোসেন চৌধুরী, ঢাকা-১০ শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, ঢাকা-১১ একেএম রহমতুল্লাহ, ঢাকা -১২ আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা-১৫ কামাল আহমেদ মজুমদার, ঢাকা-১৬ মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, ঢাকা-১৭ মোহাম্মদ আলী আরাফাত, ঢাকা -১৮ মো. হাবিব হাসান এবং ঢাকা-২০ আসনে বেনজীর আহমেদকে সবুক সংকেত দিয়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এসব আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই।
অন্যদিকে, ঢাকা ৫ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীর্তির অভিযোগ থাকায় সেখানে অন্য প্রার্থীদের মধ্য থেকে যোগ্যতম কাউকে বেছে নেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
ঢাকা ৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত হওয়া এবং শারিরীক অসুস্থতাজনিত কারণে তাকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকেট দেয়া হচ্ছে না, এটা নিশ্চত করেছে দলের হাইকমান্ড। তার পরিবার থেকেও কাউকে মনোনয়ন দেয়ার সম্ভাবনা কম। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের দুইজন কেন্দ্রীয় নেতার মধ্য থেকে একজনকে বেছে নেয়া হতে পারে এ আসনে নৌকার মাঝি হিসাবে। যদিও কাউকে সরাসরি দলের সভানেত্রী কিছুই জানাননি।
ঢাকা ১৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মো. সাদেক খানের বিরুদ্ধে নানা সময় সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকা এবং মোহাম্মদপুর এলাকায় তার লোকজনকে দিয়ে দখল, চাঁদাবাজির অভিযোগ থাকায় তাকেও এখন পর্যন্ত কোনো সংকেতই দেয়া হয়নি। ফলে তার মনোনয়ন অনিশ্চিত বলেই মনে করেন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা। সেখানে অন্য কাকে মনোনয়ন দেয়া হতে পারে, সে বিষয়েও কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
ঢাকা-১৪ আসনে উপনির্বাচনে জয়ী সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে তেমন কোন অভিযোগ না থাকলেও বয়সের কারণে তিনি বাদ পরতে পারেন। সেখানে দলের সহযোগী সংগঠনের দুই শীর্ষ নেতা অথবা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতার কথা ভাবা হচ্ছে।
ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানকে নিয়ে চূড়ান্তভাবে কোনো সিদ্ধান্ত না আসলেও নিজ এলাকায় আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভেদ মিটাতে না পারা এবং সাবেক একজন সংসদ সদস্যকে আবারো ফিরিয়ে আনার বিবেচনায় তিনি দোদুল্যমান অবস্থায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।