প্রকাশ: শুক্রবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৩, ২:৪৩ এএম | অনলাইন সংস্করণ
পাবনা জেলার আতাইকুলা থানার গনেশ পুর গ্রাম ইতিমধ্যে মাদক ব্যবসায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। কারণ সেই এলাকাতেই বসবাস পাবনার মাদকসম্রাট নামে পরিচিত শাহীনl মাদক সম্রাট শাহিনের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলাও বিচারাধীন রয়েছে।
আর এই মাদক ব্যবসায়ের কাজে সহযোগিতা করে আসছে মাদকসম্রাট শাহিনের আপন বড় ভাই ইউপি মেম্বার আনোয়ার। প্রশাসনের যৌথ অভিযানে মাদক ব্যবসা কিছুটা ভাটা পড়লেও সেটি আবার পুষিয়ে দিচ্ছে ইউ পি মেম্বার আনোয়ার। মাদকের বিরুদ্ধে কেউ কোনো প্রতিবাদ করলে বা কোন তথ্য দিলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে এই ইউপি মেম্বার আনোয়ার। এমনকি মাদকের বিরুদ্ধে যারা কথা বলেছে এবং প্রতিবাদ করেছে তাদেরকে বিভিন্ন মিথ্যা রাজনৈতিক মামলায়ও ফাঁসিয়ে দিয়েছেন এই ইউপি মেম্বার আনোয়ার। যারা তাদের এই মাদক কাজে বাধা প্রদান করে তাদের ব্যাপারে সে ঊর্ধ্বতন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদেরকে ফাঁসিয়ে দিয়ে তাদের জীবনটা নষ্ট করে যাচ্ছে এই ইউপি মেম্বার আনোয়ার l গত বৃহস্পতিবার একজন শিক্ষককে তার বাসার সামনে থেকে ইউপি মেম্বার আনোয়ার জোরপূর্বক তুলে নিয়ে পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক মোঃ আজহারুল ইসলাম দীর্ঘদিন সুনামের সহিত তার শিক্ষকতা জীবন সবেমাত্র শেষ করেছে এবং সে সদ্য হজ থেকে ফিরেছে। তার শিক্ষকতা জীবনে সে কোন ধরনের রাজনৈতিক মামলায় জড়ায় নাই। এমনকি শিক্ষা খাতে অবদান রাখার জন্য সে শেরে বাংলা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড পুরস্কারও পেয়েছে।
এলাকাবাসী আরো জানান, ইতিপূর্বে এই শিক্ষকের ছেলে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কারণে ইউপি মেম্বার আনোয়ার ও তার ভাই মাদক সম্রাট শাহিন মিলে তার ছেলেকে মেরে পঙ্গু করে দেয় সে বিষয়ে আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে এখন আবার তাকেও এই মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছেন শুধুমাত্র মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে। শিক্ষকরা হলো একটি জাতি গড়ার রূপকার তাদের সাথে এ ধরনের আচরণ মোটেও কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা আরো জানান এই ইউপি মেম্বার পূর্বেও এলাকার অনেক নিরীহ মানুষকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন যারা কোন ধরনের কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত নয়।
শিক্ষক মোহাম্মদ আজহারুল ইসলামের পরিবারের দাবি সে তার শিক্ষকতা জীবন সম্মানের সহিত শেষ করেছে এবং তার জীবনে ইতিপূর্বে কখনো কোন রাজনৈতিক মামলা হয়নি শুধুমাত্র মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে মাদক সম্রাট শাহীন এবং তার ভাই মেম্বার আনোয়ার মিলে এই চক্রান্ত করে মিথ্যা তথ্য আওয়ামী লীগের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে পৌঁছে দিয়ে এবং প্রশাসনকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এই মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছেন।
তার পরিবারের দাবি সে কোন ধরনের কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত নয় যা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে এবং শুধুমাত্র তাদের মাদক ব্যবসায়ীর বিরোধিতা করার কারণে এই মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে ফাঁসিয়েছে। ইউপি মেম্বার আনোয়ার শুধুমাত্র তাদের মাদক ব্যবসা সচল রাখার জন্য ক্ষমতার অপব্যবহার করে মানুষকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বলে, ইউপি মেম্বার আনোয়ার তার ভাইয়ের মাদক ব্যবসা সচল রাখার জন্য যে সকল কর্মকান্ড করছে এবং মানুষকে মিথ্যা মামলা দিচ্ছেন এতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। ইতিপূর্বেও তারা নন্দনপুর ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিনের বাসায় নিজেরাই ভাঙচুর করে কিছু মানুষকে মিথ্যা মামলা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করেছিল পরবর্তীতে পাবনার পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে সেটি আর করতে পারেনি।
স্থানীয় এলাকাবাসী আরো জানান, একটি মিথ্যা মামলা মানুষের জীবনের অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট করে ফেলে সুতরাং যারা এ সকল মিথ্যা মামলা ফাসিয়ে দেওয়ার কাজে জড়িত তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে আবেদন করেছেন।