প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৩, ৮:৩৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট উদ্বোধনের প্রথম দিনই ৫৪ হাজার ৭০ মেট্রিক টন জালানী কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে নঙ্গর করেছে ভারতীয় পতাকাবাহী জাহাজ “এমভি জগ রাজিব” নামের বানিজ্যিক জাহাজ। বিদেশী এ জাহাজটি ইন্দোনেশিয়ার বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে বুধবার বিকালের জোয়ারে সরাসরী বঙ্গপসাগরের মোহনা বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়ায় এসে ভিড়ে। সেখানে ৪ দিন অবস্থান করে কিছু কয়লা খালাস করে আনা হবে হারবাড়িয়ার ১২ নম্বর বয়ায়।
জাহাজটির শিপিং এজেন্ট মেসার্স টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিঃ এর কর্তৃপক্ষ জানায়, বুধবার (১ নভেম্বর) দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধম ইউনিট উদ্বোধনের পর রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এবার দ্বিতীয় ইউনিটটি উদ্বোধন করেণ। ঠিক এদিন বিকালে জালানি কয়না নিয়ে ভারতীয় পতাকাবাহী জাহাজটি বঙ্গোপসাগর মোহনা মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়ায় এসে নঙ্গর করে। গত ২১ অক্টোবর সকালে ইন্দোনেশিয়ার মুয়ারা পান্থাই বন্দর থেকে রামপালের তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য ৫৪ হাজার ৭০ মেট্টিক টন কয়লা নিয়ে বাংলাদেশের মোংলা বন্দরের উদ্দ্যেশে ছেড়ে আসে ভারতীয় পতাকাবাহী এ জাহাজটি। তিনি আরো জানায়, বুধবার (১ নভেম্বর) মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় নোঙ্গর করে বানিজ্যিক জাহাজ “এম.ভি জগ রাজীব” সাগর পথ পাড়ি দিয়ে মোংলা বন্দরে পৌছাতে ১২ দিন সময় লেগেছে।
জাহাজটির কয়লা খালাসকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এম এ হাসেম এন্ড সন্স এর প্রতিনিধিরা বুধবার রাতের পালা থেকে কয়লা খালাস শুরু করে যার খালাস কাজ এখনও চলমান রয়েছে। জাহাজটির ড্রেফ্ট বেশী হওয়ায় ফেয়ারওয়ে বয়ায় রেখে ২৩ হাজার মেট্রিকটন কয়লা খালাস করা হবে। সেগুলো বড় বড় কার্গো বা লাইটার জাহাজ বোঝাই করে পশুর নদী দিয়ে তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রে নেয়া হবে।
পরে প্রেফ্ট কমলে বাকী ৩১ হাজার ৭০ মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে বন্দরের হারবাড়ীয়ার ১২ নম্বও এ্যাংকারেজ বয়ায় আসবে। সেখান থেকে খালাসকৃত কয়লা কার্গো ও লাইটার জাহাজে করে নেয়া হবে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে। পরে জেটি থেকে তা সংরক্ষণ করা হবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গোডাউনে।
রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুইটি ইউনিটই চালু হলো, ফলে এখন দিনকে দিন বেড়ে যাবে কয়লা চাহিদা। তাই প্রতিষ্ঠানটি চালু ও কয়লা চাহিদা পুরণ করতে তৎপর রয়েছে বন্দরের আমদানী-রপ্তানীকারক ব্যাবসায়ীরা বলে জানায় জাহাজটির শিপিং এজেন্ট মেসার্স টগি শিপিং এর অপারেশন কর্মকর্তা মো: হোসেন ইমাম।
আমদানীকারক ব্যাবসায়ী এইচ এম দুলাল বলেন, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দুইটি ইউনিটই এখন সচল এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। এ কেন্দ্রটি সর্বক্ষনিক চালু রাখতে হলে অন্তত ৬ মাসের কয়লা মজুদ রাখা প্রয়োজন। তাই এ অঞ্চলের ব্যাবসায়ীরা সকলে মিলে চেষ্টা করলে কয়লা সংকট দুর হবে, বন্দরে জাহাজের সংখ্যা বারবে অন্যদিকে, সরকারের রাজস্ব সহ শ্রমিকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
গত ২১ অক্টোবর সকাল ১১টায় বন্দরের ১২ নম্বর এ্যাংকারেজ বয়ায় ৩৩ হাজার ১১০ মেট্রিক টন কয়লা খালাস করে মোংলা বন্দর ত্যাগ করে সিঙ্গাপুর পতাকাবাহী “এমভি সাগর জিট”।