প্রকাশ: বুধবার, ১ নভেম্বর, ২০২৩, ১০:০৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ইংলিশ ধরায় ২২ দিন অপেক্ষার পর আজ মধ্যরাতের পর ফের সাগরে নদীতে মাছ শিকারে নামবেন উপকূলীয় জেলেরা। তাই, মাছ ধরার জন্য শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত বরগুনার জেলেরা। কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে মাছ ধরতে পারলে নিষেধাজ্ঞাকালীন ক্ষতি পুষিয়ে যাবে জেলেদের, বাড়বে রাজস্ব আয়।
উপকূলীয় জেলা বরগুনার প্রত্যন্ত জেলেপল্লিতে দম ফেলার ফুরসত নেই কারও। সমুদ্রযাত্রার জন্য রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সবাই।
২২ দিন পর আজ মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে সমুদ্রে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা। তাই, নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যাওয়ার জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন বরগুনার জেলেরা। সাগরে কাঙ্ক্ষিত মাছের দেখা পেলে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ের ক্ষতি পুষিয়ে যাবে বলে দাবি জেলেদের। অন্যদিকে, নিষেধাজ্ঞা শেষ হতে যাওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে মৎস্যশ্রমিকদের মধ্যেও।
পাথরঘাটার কালমেঘার জেলে বশির মিয়া বলেন, পোলাপান লইয়া খুব কষ্টে দিন কাটাইছি। এবার সিজন ভালো যায়নায়। নিষেধ শ্যাষ অইছে এহন আবার সাগরে যামু। আল্লায় যদি মাছ পোনা দুগ্গা দেয় তয় খাইয়া পইড়্যা বাইচ্চা থাকতে পারমু আনে।
পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র আবার সরগরম জেলেদের পদচারণায়। ট্রলার জাল বরফ বাজার সওদা নিয়ে প্রস্তত জেলেরা। বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, অভাব-অনটনসহ রোগে-শোকে পড়ে নারী, শিশুসহ হাজার হাজার জেলে এখন বিপর্যস্ত। এই ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে আরও কঠিন সময় পার করেছে উপকূলের জেলেরা। নিষেধাজ্ঞা শেষে আবারও তারা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় গভীর সমুদ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এদিকে, নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার কারণে পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে রাজস্ব আদায় বাড়বে। এটি দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করতে ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র-বিএফডিসির বিপণন কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার।
অন্যদিকে, বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, ২২দিন পর আবারো জেলেরা সাগরে নদীতে মাছ শিকারে যাবে। আশা করি তারা কাঙ্খিত মাছ শিকার করতে পারবে এবং স্বচ্ছলতা ফিরবে। তিনি বলেন, ‘ ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময়ে বরগুনার প্রায় ৪০ হাজার জেলেকে আমরা খাদ্য সহায়তা দিয়েছি।