প্রকাশ: শনিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৩, ৪:১৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
রাজধানীর কাকরাইলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকর্মীরা হামলার শিকার হয়েছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের কাঁদানে গ্যাস এবং বিক্ষুব্ধ জনতার ইটপাটকেলে তারা গুরুতর আহত হন। শনিবার দুপুরে কাকরাইলে বিএনপির মহাসমাবেশ বিষয়ক সংবাদ সংগ্রহের সময় আহত হন তারা।
কাকরাইলে হামলায় আহত হন মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট মারুফ হাসান। হামলার পর তাকে উদ্ধার করে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তার প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তিনি পলিটিক্যাল নিউজ বিডি নামক একটি অনলাইনে কাজ করেন।
এছাড়া সংবাদ সংগ্রহকালে আরও আহত হন বাংলানিউজের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট জাফর আহমেদ, দৈনিক কালবেলা পত্রিকার রাফসান জানি ও দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার এক সাংবাদিক। এছাড়াও রাজু আহমেদ নামে আরও এক সাংবাদিকের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
গুরুতরও আহত অবস্থায় দৈনিক কালবেলার প্রতিবেদক রাফসান জনিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ব্রেকিংনিউজের ক্রাইম রিপোর্টার কাজী ইহসান বিন দিদার, আক্রান্ত হোন ব্রেকীং নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক আহসান হাবিব সবুজ, ইনকিলাব পত্রিকার ফটোসাংবাদিক এফ এ মাসুমসহ আরও অনেকে। এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা আহত হয়েছেন।
রাফসানের সঙ্গে থাকা কালবেলার জ্যৈষ্ঠ প্রতিবেদক রাজন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, কাকরাইল মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্য় চলাকালে ভিডিও ফুটেজ নিচ্ছিলেন সাংবাদিক রাফসান জানি। পুলিশের ওপর হামলার এই ফুটেজ সংগ্রহকালে দুষ্কৃতকারীরা রাফসানের ওপর হামলা চালায়।
তিনি আরও বলেন, এ সময় রাফসানের গলায় কালবেলার আইডিকার্ড ঝুলানো থাকলেও তাকে এলোপাথাড়ি মারধর করা হয়। হামলায় তার সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। এছাড়া তার মোবাইল ফোনটিও ছিনিয়ে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। তার অবস্থা গুরুতর।
এদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে গণমাধ্যমকর্মীর ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সিনিয়র সাংবাদিকরা।