প্রকাশ: শনিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৩, ৩:৫১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
রাজধানীর বিজয়নগরে পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, কালভার্ট মোড়, পুরানা পল্টন ও সেগুনবাগিচা—এই তিন দিক থেকে ঘেরাও করে পুলিশকে আক্রমণ করছে বিএনপিসহ সমমনা দল ও জোটের নেতা-কর্মীরা। পানির ট্যাংক মোড়ে অবস্থান নিয়ে পুলিশ নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ছে।
পুলিশের ওপর ব্যাপক ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে তারা। বিজয়নগরের কালভার্ট রোডের একটি ভবনে পুলিশের ৪০ জনের একটা ফোর্স আটকা আছে বলেও জানা গেছে।
সরেজমিনে আরও দেখা গেছে- বিএনপি, গণঅধিকার, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা হাতে এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মী সন্দেহে কয়েকজনকে মারধর করেছেন তারা। এই সংঘর্ষে কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। দুটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমাবেশকে ঘিরে রণক্ষেত্রে রূপ নিয়েছে রাজধানীর কয়েকটি এলাকা। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক দফা দাবি আদায়ে মহাসমাবেশ করছে বিএনপি। শুক্রবার বিকেল থেকে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন দলের নেতা–কর্মীরা। শনিবার দুপুরের পর সমাবেশ এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
কিছু দূরে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সকালে থেকে সেখানে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসতে থাকেন দলটির নেতা–কর্মীরা। এরপর দুপুরের দিকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সমাবেশ শুরু হয়।
কালভার্ট রোডে বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলায় এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ সদস্যের নাম সামাদ। এসময় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরআগে দৈনিক ইত্তেফাক, কালবেলা, ঢাকা টাইমসের সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিএনপির হামলায় ঢাকা টাইমসের এক সাংবাদিকের পা ভেঙে যায় এবং কালবেলার সাংবাদিক রাফসান জনি গুরুতর আহত হন। হামলা চালিয়ে সময় টিভির গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।