আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা এখনও শান্তি চাই, আগামীতেও চাই। শুধু নির্বাচনেই নয়, নির্বাচন পরবর্তী পর্যন্ত শান্তি চাই। আমরা আগামীকাল শান্তি সমাবেশের মধ্যদিয়ে অশান্তির জবাব দিতে চাই।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা সরকারে আছি, আমরা কেন অশান্তি করব? বিএনপি অশান্তি করতে চায়। ওরা জানে জনগণের ভোটে শেখ হাসিনাকে হারাতে পারবে না। তাই ওরা নির্বাচন বানচালের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চায়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি বাংলাদেশকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করতে চায়। তাদের রাজনীতি হলো যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল করা। বর্তমানে তারা সেটারই প্র্যাকটিস করছে। তারা জনগণের ওপর দুঃশাসন চাপিয়ে দিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে নিজেদের আখের গোছাতে চায়।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বিএনপি বিতর্কিত করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করিনি। বাতিল করেছে আদালত। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা থাকা মানে আমাদের দেশকে ছোট করা, দেশের অর্জনকে ছোট করা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামীকালের সমাবেশে দলে দলে মিছিল নিয়ে যোগ দেবেন। সমাবেশ শেষ হলেই চলে যাবেন না। অবস্থা বুঝে যাবেন। যার যার দায়িত্ব আছে। শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবেন।
তিনি আরো বলেন, বার বার অপশক্তিকে মাথা তুলে দাঁড়ানোর সুযোগ দেওয়া উচিত না। এই অপশক্তির চিরতরে অবসান ঘটাতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (বিএনপি-জামায়াত) নির্বাচনকে সামনে রেখে অগ্নিসন্ত্রাস-নাশকতা করে কিনা, মানুষ ভয় পাচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বেঁচে থাকতে গণতন্ত্র ব্যাহত হতে দেব না, এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা আমাদের বিদেশি বন্ধুদের কাছে অপমান করেছে। আমাদের আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য যদি জীবন দিতে হয়, তারপরেও আমরা পথ ছাড়ব না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে শান্তি সমাবেশ করে দেখিয়ে দেব, আমরা অশান্তির বিরুদ্ধে। শান্তির পক্ষে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারা সবাই নিজে নিজের দায়িত্ব নেবেন। এ যুদ্ধ আমাদের সবার। এটা আমাদের বাংলাদেশের আরেক মুক্তিযুদ্ধ। যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি তাহলে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে পারব।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মো. ফারুক খান, শাহজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ।