রাজধানীর মহাখালীর আমতলী এলাকার খাজা টাওয়ারে আগুন লাগার ঘটনায় ৪০ শতাংশ ইন্টারনেট ব্রডব্যান্ড গ্রাহক সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। কারণ, ওই টাওয়ারে গুরুত্বপূর্ণ অনেকগুলো কোম্পানির ডেটাসেন্টার ও সার্ভার রয়েছে।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সংগঠনটির সভাপতি এমদাদুল হক জানান, নিরাপত্তার জন্য ভবনটিতে এখনও কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ কারণে সেখানে কাজ করা যাচ্ছে না। তাই নেট সেবা স্বাভাবিক করতে সময় লেগে যাচ্ছে।
এমদাদুল হক বলেন, যতটুকু খবর পেয়েছি লেভেল থ্রি, ম্যাক্স হাব, আমরা নেটওয়ার্কস, আর্থনেট ও উইনস্ট্রিম আইআইজি পুড়ে গেছে। ফলে আমরা এরইমধ্যে ৭০-৮০ শতাংশ ব্যান্ডউইথ হারিয়েছি। সারাদেশের ৫৫০-৬০০ আইএসপি প্রতিষ্ঠানের সেবা বন্ধের পর্যায়ে।
তিনি বলেন, আমাদেরকে ভবনে ঢোকার একসেস না দিলে, ইকুইপমেন্ট বের করতে না দিলে তো এটা লাইভ করতে সময় লাগবে। ওই ভবনে যদি আমরা কাজ করতে না পারি তাহলে ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি চালু হতে আরও এক সপ্তাহ সময় লেগে যাবে। আর একসেস দিলে আমরা আজই লাইভ করে ফেলব।
এমদাদুল হক জানান, আগুনে সারা দেশের ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ আইএসপি সরাসরি অ্যাফেক্টেড। এছাড়া আরও ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ আইএসপি অনেকগুলো সেবা পাবে না, তারাও পরোক্ষভাবে অ্যাফেক্টেড।
জানা গেছে, বহুতল এ ভবনে গ্রামীণফোনসহ অনেকগুলো কোম্পানির ডেটা সেন্টার ও সার্ভার রয়েছে; যেগুলোর সঙ্গে সারা দেশের বেশির ভাগ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) ও ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) যুক্ত।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বেলা ৫ টায় মহাখালীর ১৪ তলা খাজা টাওয়ারে আগুন লাগে। আগুন লাগার পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট সেখানে টানা কাজ করে। পরে শুক্রবার সকাল পৌনে নয়টায় ভবনটি অগ্নিমুক্ত ঘোষণা করে ফায়ার সার্ভিস। বৃহস্পতিবার আগুন লাগার পর রাতেই ঢাকার বিভিন্ন এলাকার অফিস ও বাসায় ইন্টারনেট সেবাদাতা বিঘ্নিত হওয়ার খবর আসতে শুরু করে। কোথাও কোথাও গতি ধীর হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও সংযোগই নাই। এলাকায় এলাকায় ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের গ্রাহকদের সেবা বিঘ্নিত হওয়ার বিষয়ে জানায়।