প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৩, ৯:১৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
২৮ অক্টোবর বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশকে ঘিরে সিলেটে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
কয়েক মাস আগেও যেখানে কোনো চেকপোস্ট দেখা যায়নি সেখানে এখন পুলিশি চেকপোস্ট। রাতের অন্ধকারে পুলিশ যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি করছে। আগের চেয়ে একটু কড়া নির্দেশনা রয়েছে। বিরোধী দলের আন্দোলন যতো জোরদার হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও ততই সক্রিয় হচ্ছে। আন্দোলনকে ঘিরে প্রয়োজনে আরো কঠোর হবে। পুলিশের কয়েক জন কর্মকর্তার সাথে কথা বললে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
আগের তুলনায় বেড়েছে বিরোধী দঔেধষরষ নেতাকর্মীদেও খোঁজ খবর নেয়া। কোনো মামলার আসামি নন এমন নেতাকর্মীদের বাড়িতে ঢু মারছে পুলিশ। এনিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে জেলখানায়ও শুরু হয়েছে বাড়তি নজরদারি। রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতারকৃত কারো সাথে সহজে চাইলেই কেউ দেখা করতে পারছেন না। বিশেষ করে কঠোর নজরদারিতে রাখা হচ্ছে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদেরকে।
জানা গেছে, সিলেটের প্রত্যন্ত গ্রামেও বিরোধী দঔেধষরষ নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযান শুরু হয়েছে। একাধিক নেতাকর্মী বলেছেন, মিছিল-মিটিংয়ে এখন প্রকাশ্যে বাধা না দিলেও বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা যাতে শান্তিতে বাড়িতে ঘুমাতে না পাওে সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে আইনশৃখলা রক্ষাকারী বাহিনী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি কর্মী বলেন, তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তারপরও পুলিশ কয়েক দফায় তার খোঁজ খবর নিচ্ছে। এনিয়ে তিনি আতঙ্কে আছেন।
জেলখানাতেও কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখতে বলা হয়েছে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদেরকে। কারাগারের একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, কারাগারে বিরোধী দঔেধষরষ নেতাকর্মী রয়েছে তাদেরকে একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখার নির্দেশ রয়েছে। সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে তাদের মুভমেন্ট। এমনকি, তাদের সাথে আত্মীয়-স্বজনকেও দেখা করতে দেয়া হয় না বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কারা কর্মকর্তা বলেছেন, কোনো কোনো নেতাকর্মীর সার্বক্ষণিক মুভমেন্ট বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা মনিটরিং করছে।