প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৩, ৯:১৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
খুলনার পাইকগাছায় নিয়মনীতি ও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ছাড়াই উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে শতাধিক ছোট বড় বাজারের অর্ধসহ¯্রাধিক দোকানে অবাধে বিক্রি হচ্ছে তরলকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাস। আইন কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এ জ্বালানির ব্যবসা চলছে অহরহ।
জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন বাজার, পাড়া, মহল্লার মুদি দোকান, প্লাস্টিক সামগ্রীর দোকান, ফার্নিচার দোকান, ফোন ফ্যাক্সের দোকান এমনকি জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দোকানেও পাওয়া যাচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। এসব দোকানে নেই কোনো আগুন নির্বাপক যন্ত্র। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে জানা নেই প্রতিকারের ব্যবস্থা। জনবহুল কিংবা আবাসিক এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্যবসার কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে প্রতিনিয়ত।
জ্বালানি অধিদপ্তরের আইন অনুযায়ী যেসব প্রতিষ্ঠান গ্যাস বিক্রি করবে তাদের, গ্যাস বিক্রির স্থানকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা রেখে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাতে হয়। আইন অনুযায়ী গ্যাস বিক্রির স্থানে কমপক্ষে মেঝে পাকাসহ আধাপাকা ঘর, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপণ লাইসেন্সসহ অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকতে হবে। এ ছাড়াও থাকতে হবে জ্বালানি অধিদপ্তরের অনুমোদন বিস্ফোরক পরিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, খুচরা দোকানে বিক্রির জন্য সর্বোচ্চ ১০টি গ্যাস সিলিন্ডার রাখা যায়। সে ক্ষেত্রে কেবল ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স নিলেই হবে। ১০টির বেশি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে হলে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স বাধ্যতামূলক। কিন্তু উপজেলায় গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছে ২০০টি প্রতিষ্ঠান। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠিান কোনো ধরনের লাইসেন্স ছাড়াই গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির ব্যবসা পরিচালনা করছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এর কোনটিই নেই হাতেগোনা ২-১ জন ছাড়া এই উপজেলার গ্যাস ব্যবসায়ীদের। এসব গ্যাস ব্যবসায়ীরা সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন তাদের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। অধিক লাভের আশায় মান ও মেয়াদহীন অনেক কোম্পানির সিলিন্ডার রাখায় এসব দোকানিরা নিজের অজান্তেই বোমার চেয়ে ভয়ানক বিপদের পসরা সাজিয়ে রেখেছেন। সচেতন মহল প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিছেন।