প্রকাশ: বুধবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৩, ৩:০৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলার ব্যাপক সমালোচনা করায় জাতিসংঘ মহাসচিবের পদত্যাগ চেয়েছে ইসরায়েল।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ২৪ অক্টোবরের অধিবেশনে গাজায় হামাসের হামলার কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলা ‘শূন্য থেকে’ হয়নি। ফিলিস্তিনিরা ৫৬ বছর ধরে দমবন্ধ দখলদারিত্বের শিকার।
গুতেরেস বলেন, ফিলিস্তিনের জনগণ তাদের ভূখণ্ড (ইসরায়েলি) বসতিতে পরিণত হতে এবং সহিংসতায় জর্জরিত হতে দেখেছেন। তাদের অর্থনীতি থমকে গেছে। সেখানকার বাসিন্দারা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। তাদের দুর্দশার রাজনৈতিক সমাধানের আশা ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।
উত্তর গাজা খালি করার ইসরায়েলি নির্দেশের প্রসঙ্গ টেনে মহাসচিব বলেন, ১০ লাখ মানুষকে দক্ষিণে চলে যেতে বলাকে সুরক্ষা দেওয়ার বলা যায় না, যেখানে কোনো আশ্রয় নেই, খাবার নেই, পানি নেই, ওষুধ নেই, জ্বালানি নেই। আর মানুষকে দক্ষিণে যেতে বলে সেখানে বোমা হামলা চালিয়ে যাওয়া যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা হামাসের ভয়ংকর হামলাকে ন্যায্যতা দেয় না। আর ওই ভয়ংকর হামলার কারণে ফিলিস্তিনি মানুষদের সম্মিলিতভাবে শাস্তি দেওয়াও ন্যায্যতা পায় না।
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ প্রসঙ্গে গুতেরেসের এমন মন্তব্যের পর তার সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠকে বসবেন না বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন। এদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলার্ড এরডান মহাসচিবকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, আমি তাকে এ মুহূর্তে পদত্যাগের আহ্বান জানাচ্ছি। ইসরায়েলের জনগণ ও ইহুদিদের বিরুদ্ধে চালানো সবচেয়ে জঘণ্য অপরাধের প্রতি যারা সহানুভূতি দেখায় তাদের সঙ্গে কথা বলার যৌক্তিকতা নেই।
ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায়। ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়। তারা দুই শতাধিক ব্যক্তিকে ইসরায়েল থেকে ধরে গাজায় নিয়ে যায়।
প্রতিক্রিয়ায় ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় নির্বিচার বোমা হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৫ হাজার ৮০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে দুই হাজারের বেশি শিশু। অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।