কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বরের পরিবর্তে ৭ নম্বর বিপদসংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে বর্তমানে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রবৃষ্টি হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় হামুনের কারণে সৃষ্ট ঝড়ো বাতাসে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ও সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৮টা থেকে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে পুরো কক্সবাজার শহর।
এদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় বিঘ্ন হচ্ছে টেলিযোগাযোগসেবাও। অধিকাংশ এলাকায় বন্ধ রয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট। এছাড়া সন্ধ্যা থেকে দেখা দেয় মোবাইল নেটওয়ার্ক জটিলতা। তবে কবে নাগাদ বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে পারেনি পল্লী বিদ্যুৎ এবং ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো)।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কক্সবাজারের সহকারী প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুন-এর প্রভাবে গাছপালা ভেঙে পড়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিসহ বিভিন্ন সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার কারণে পুরো শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কক্সবাজারে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সৈকতে বিপদসংকেতের অংশ হিসেবে পর্যটকদের সতর্কতা হিসেবে মাইকিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া সৈকতে দায়িত্বরত লাইফগার্ড কর্মীরা পর্যটকদের নিরাপদে থাকতে মাইকিং করছেন।
জেলা প্রশাসন বলে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দুপুরে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা কমিটির প্রস্তুতি সভা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকার লোকজনদের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র এবং নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে মাইকিং করা হচ্ছে।