প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৩, ৯:১৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়িতেও বিজয়া দশমীর মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাঁচ দিনব্যাপী প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। বিজয়া দশমীতে দেবীকে অশ্রুসিক্ত চোখে বিদায় জানালেন সনাতনী ভক্তরা।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ভোর থেকেই মন্ডপে মন্ডপে আনন্দ ও বিষাদমাখা অনুভূতিতে পূর্ণ ছিলো দেবী দুর্গা প্রাঙ্গণ। খাগড়াছড়ি জেলা শহরের মন্ডপে মন্ডপে সকাল ১০টার মধ্যে পূজা শেষে হয়েছিল পুষ্পাঞ্জলি, আরতি ও মন্ত্রপাঠ। এরপর সিঁদুর খেলা শেষে বিকালে মন্ডপ থেকে প্রতিমাগুলো নামিয়ে আনার পরপরেই শোভাযাত্রা বের করা হয়। পরে শহরের চেঙ্গী নদীতে বিসর্জন দেয়া হয়।
খাগড়াছড়ি জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: তফিকুল আলম জানান, দুর্গা বিসর্জন উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে বাড়তি নিরাপত্তায় পুলিশ রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে প্রতিমাগুলো যেন নির্বিঘ্নে ও সুশৃঙ্খলভাবে বিসর্জন দিতে পারে। সে বিষয়ে কাজ করছে পুলিশ।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী এবারের শারদীয় দুর্গাপূজা সুস্থ্য ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
সনাতনী সংগঠক জয় প্রকাশ ত্রিপুরা বলেন,মহা ষষ্ঠীপূজার মধ্যদিয়ে শুরু হয় শারদীয় দুর্গোৎসব। দশমীর বিহিতপূজা ও দর্পণ-বিসর্জনের পর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় শারদীয় দুর্গোৎসব। আজ বিজয়া দশমীর মধ্যদিয়েই শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব। আবারও আরেকটি বছর অপেক্ষার পর দেবী দুর্গার দর্শনে অপেক্ষায় থাকবো।
সাংস্কৃতিক কর্মী সুবর্ণা ঘোষ বলেন,মহিষাসুর বধের আনন্দ উৎসব থেকেই দুর্গাপূজার শেষ দিন বিজয়া দশমী পালন করা হয়।দেবী দুর্গা পিতৃগৃহ থেকে কৈলাসে গমন করেন। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব।
সীমা ত্রিপুরা বলেন,দশমী মানেই দেবীদুর্গার নিজ আলয়ে ফিরে যাওয়া, ভক্তদের অপেক্ষা বাড়লো আরও একটি বছরের।