ওয়াকফ বিভাগ বলছে, পুলিশ আকস্মিকভাবে এবং আশ্চর্যজনক পদক্ষেপ নিয়ে প্রাচীর ঘেরা পবিত্র প্রাঙ্গণের দিকে যাওয়ার সব গেট বন্ধ করে দেয় এবং সব বয়সের মুসল্লিদের প্রবেশ করতে বাধা দেয়।
এটি আরও বলছে, দখলদার কর্তৃপক্ষ সকাল থেকেই মসজিদে প্রবেশের কড়াকড়ি আরোপ করে, যেখানে শুধুমাত্র বয়স্কদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। পরে দ্রুত সিদ্ধান্ত পাল্টে আল আকসা মসজিদে সব বয়সের মুসল্লিদের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। গত কয়েক মাসে এমনটি হয়নি।
গেল ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। পরে হামাসশাসিত গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। সেই হামলা এখনও চলছে। একইসঙ্গে পশ্চিম তীরে হামলা ও গ্রেপ্তার বাড়িয়েছে ইসরায়েল।
আল-আকসা মসজিদকে মক্কা ও মদিনার পরই ইসলামের তৃতীয় সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মুসলমানরা বিশ্বাস করেন, নবী মুহাম্মদ (সা.) মেরাজের রাতে কাবা শরিফ থেকে প্রথমে আল-আকসায় এসেছিলেন এবং মেরাজে গমনের আগে এখানে সব নবীর সঙ্গে নামাজের সময় ইমাম হিসেবে নামাজ আদায় করেন।
আল-আকসাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। চলতি বছরের শুরুতেও সেখানে ইসরায়েলি পুলিশ ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।