প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৩, ৭:৪৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে বরগুনায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ রয়েছে মেঘাচ্ছন্ন। রাত সাড়ে ১২ টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়ে থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। সঙ্গে হালকা বাতাসও বইছে।এ কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে।
বৃষ্টির কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আমনধানসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল খেতে থাকায় ঘুর্ণিঝড়ের কারনে জেলায় সব থেকে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কৃষকের।
মাছ ধরায় ২২ দিনে নিষেধাজ্ঞার কারণে নিরাপদ আশ্রয় রয়েছে মাছ ধরার ট্রলার।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেতে বরগুনা জেলা প্রশাসন মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর)
বেলা সাড়ে ১১টায় বরগুনা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা জরুরী জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মুহা. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রস্তুতিমূলক সভায় উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার আবদুছ ছালাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর কবির, এডিসি জেনারেল ফয়সাল আহমেদ , প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সকল সাংবাদিক সহ জেলার সকল দফতরের কর্মকর্তা বৃন্দ। এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মুহা. রফিকুল ইসলাম ঘূর্ণিঝড় 'হামুন' মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় বরগুনায় মোট ৬৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এসবের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৮৫টি, আমতলীতে ১১১টি, তালতলীতে ৫৩টি, পাথরঘাটায় ১২৪টি, বেতাগীতে ১১৪টি এবং বামনায় ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে মোট ২ লাখ ৬৯ হাজার ৫১০ জন আশ্রয় নিতে পারবেন। এছাড়া জেলায় ৯ হাজার ৬১৫ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে।