প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৩, ৭:৪২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
নওগাঁর আত্রাইয়ে বন্যায় ভেঙে যাওয়া সড়কগুলো দ্রুত সংস্কার হওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার দুর্ভোগ লাঘব হওয়ায় তারা আনন্দিত হয়েছেন। সাম্প্রতিক বন্যায় উপজেলার বশে কয়েকটি স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল। সেগুলো দ্রুত সংস্কার হওয়ায় বর্তমানে এই সড়কগুলো দিয়ে সকল প্রকারের যানবাহস চলাচল করতে পারছে। তবে আর অল্প কিছু দিনের মধ্যেই সড়কগুলোকে পাঁকাকরণ করা হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরা।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রবীর কুমার পাল জানান, গত সেপ্টেম্বর মাসের ২৭ তারিখে ভারী বৃষ্টিপাত আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে নওগাঁর দুটি প্রধান নদী ছোট যমুনা ও আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার ১শত সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারণে আত্রাই উপজেলার চকবলরাম ও আত্রাই-সিংড়া সড়কের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের জগদাস ও শিকারপুর নামক স্থানে ভেঙে যায়। ফলে নওগাঁ ও রাণীনগরের সঙ্গে আত্রাই উপজেলার ও কাশিয়াবাড়ি এবং নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার সঙ্গে আত্রাই উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
পরবর্তিতে স্থানীয় প্রশাসন ও বাসিন্দাদের সার্বিক সহযোগিতায় দ্রুত ভেঙে যাওয়া অংশগুলো বন্ধ করার কারণে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই কম হয়েছে। এরপর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সেই ভেঙে যাওয়া অংশগুলো সংস্কার করার কারণে স্বাভাবিক হয়েছে ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে সকল প্রকারের যান চলাচল। ভেঙে যাওয়া বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধগুলো স্থায়ী ভাবে পুন:নির্মাণ কাজ শেষ হওয়া মাত্রই সংশ্লিষ্ট সড়ক বিভাগের কাছে আমরা হস্তান্তর করবো। তারপর সেই ভেঙে যাওয়া সড়কগুলো নতুন করে পাকাকরণ করা হবে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল হক রাসেল বলেন, বন্যার কারণে আত্রাই উপজেলার কাশিয়াবাড়ি সড়কের বলরামচক নামক স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের ২৫মিটার, আত্রাই-সিংড়া সড়কের জগদাস নামক স্থানে ১৬মিটার ও শিকারপুর নামক স্থানে ৫৭মিটার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের পাকা সড়ক ভেঙে যায়। বর্তমানে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে ভেঙ্গে যাওয়া অংশতে মাটি দিয়ে ভরাট করার কারণে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ শেষে সড়কটি চ’ড়ান্ত ভাবে পেলেই পাকাকরণের কাজ শুরু করা হবে।
এ বিষয়ে নওগাঁর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড এগুলো আমাদের নিকট হস্তান্তর করেলই আমরা আমাদের আওতায় যেসব সড়ক ও রাস্তা ভেঙেছে সেগুলো পাকা করণের উদ্যোগ নেব।