প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৩, ৭:৪২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় সোমবার রাত থেকেই বৃষ্টি ও বাতাসের তীব্রতা বেড়েছে। পাশাপাশি উত্তাল হতে শুরু করেছে সমুদ্র সৈকত। পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর সতর্ক সংকেত। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার সতর্ক করা হচ্ছে। নিরাপদে কুয়াকাটা ছাড়তে শুরু করছে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা। কলাপাড়া উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী ( সিপিপি) ইতিমধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা কুয়াকাটা ছাড়তে শুরু করছে ইতিমধ্যে। গতকাল সোমবার থেকে আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত অর্ধেক পর্যটক কুয়াকাটা ছেড়েছেন, বাকীরা আজ বুধবার চলে যাবে বলে ধারণা করছে হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষ।
কলাপাড়া উপজেলা সিপিপি কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান খান বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি আজ ৩০০ কি:মি: দূরে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আরো ঘনীভূত হতে পারে। তাই সব সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবাসিক হোটেল সি গোল্ড রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আল আমিন মুসুল্লি বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে পর্যটকরা কুয়াকাটা ছাড়তে শুরু করছে। আবহাওয়া এমন থাকলে এ সপ্তাহে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে না।
পর্যটক মো. রিসাল উদ্দিন জানায়, কুয়াকাটায় দুইদিন থাকব বলে প্লান ছিল পরে তা পরিবর্তন কওে একদিন থেকেই চলে যাচ্ছি আবহাওয়া ভালো না থাকার কারনে।
হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, আমরা সব সময় পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে থাকি। তারা কোনভাবেই যেন সমস্যায় না পরে সেভাবে স্পষ্ট করে ঘোষণা দেওয়া আছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জানান, আমরা সদা প্রস্তুত থাকি পর্যটকদের বাড়তি নিরাপত্তা দিতে৷ গতকাল সোমবার থেকে আজ মঙ্গলবার এবং আবহাওয়া পরিস্থিতি ভালো না হওয়া পর্যন্ত আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে মাইকিং করছি এবং তাদেরকে নিরাপদে থাকতে অনুরোধ করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা উপজেলা পরিসদ সভা করে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। সকল লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করেছি।